শঙ্খলিখিতদেবলবচনয়োঃ যদ্যপি সোদরভ্রাতৄণাং প্রথমং ধনগ্রহণং প্রতীয়তে, তথাপি সাধ্বাচারায়াঃ পত্ন্যাঃ সকলধনগ্রহণং প্রথমং বহুভিঃ বচনৈঃ প্রতীয়ত ইতি, তেষামানুগুণ্যেন তয়োর্বচনয়োঃ ব্যাখ্যানং কর্তব্যম্। পৃ ৪৫৮-৪৫৯[১]
সর্বমতেই প্রমাণিত হয়, সাধ্বী পত্নী স্বামীর সকল ধন পাইতে পারেন। শঙ্খ-লিখিত ও দেবলের বচন ইহার সহিত সুসংগত করিয়া বুঝিতে হইবে, হইাই বরদারাজের সিদ্ধান্ত।
তবে এখন বিচার করিতে হইবে শ্রুতির বচনে ইহাতে কোনো বাধা আছে কি না। পূর্বে যে শ্রুতি উদ্ধৃত করা হইয়াছে—
তস্মাৎ স্ত্রিয়ো নিরিন্দ্রিয়া অদায়াদীঃ। পৃ ৪৫৬
তাহার কি করা যায়? ইহাতে যদি নারীদের উত্তরাধিকার নিষিদ্ধই হইয়া থাকে তবে পূর্বোক্ত সব ব্যবস্থাপক মুনিগণ কখনো তাঁহাদের গ্রন্থে নারীদের উত্তরাধিকারব্যবস্থা দিতে পারিতেন না। তবে আপস্তম্ব ধর্মসূত্রোক্ত বচনটির যথার্থ তাৎপর্য কি? এই বচনে দেখা যায়, তাই নারীরা ‘নিরিন্দ্রিয়া আদায়াদীঃ’। এখন ‘নিরিন্দ্রিয়’ কথার প্রকৃত অর্থ কি?
এখানে ইন্দ্রিয় শব্দে বীর্য বুঝায় না, কারণ শাস্ত্রে নারীদের বীর্যবত্ব দেখা যায়। তাই সেইভাবে স্ত্রীগণকে নিরিন্দ্রিয় বলা যায় না। ইহাতে বুঝা যায় এখানে ‘ইন্দ্রিয়’ শব্দে সোমই বুঝাইতেছে—
- ↑ এই তর্কের মাঝখানে বরদারাজ অনেক শাস্ত্রকারদের মতের যে নিষ্কর্য দিয়াছেন তাহা তাঁহার ভাষাতেই উদ্ধত করা যাউক—
অনপত্যস্য প্রমীতস্য ধনং পত্ন্যভিগামি (অর্থাৎ অপুত্র মৃতের ধন পত্নীতে যাইবে)। ইতি বৈষ্ণববচনাৎ।
‘ভার্যাসুতবিহীনস্য’—ইতি বৃহস্পতিবচনাৎ,
‘অপুত্রা শয়নং ভর্তুঃ’—ইতি বৃদ্ধমনুবচনাৎ,
‘আম্নায়ে স্মৃতিতন্ত্রে চ’— ইতি প্রাজাপত্যবচনাৎ,
‘ভর্তুর্ধনহরী পত্নী’—ইতি বৃহস্পতিবচনাৎ,
‘অপুত্রস্যাথ কুলজা’—ইতি কাত্যায়নবচনাৎ,
‘কুল্যেষু বিদ্যমানেষু’—ইতি পিতামহবচনাৎ,
‘অসুতস্য প্রমীতস্য’—ইতি বৃহস্পতিবচনাৎ,
‘পত্নী দুহিতরশ্চ’—ইতি যাজ্ঞবল্ক্যবচনাৎ। পৃ ৪৫৮