হইত বৌদ্ধদের কথায় তাহা দেখা যায়। রাজা ওঙ্কারের চারিপুত্র। তাঁহাদের সমান অভিজাতকন্যা কোথাও আর মিলিল না বলিয়া চারি ভাই চারিটি বোনকে বিবাহ করেন। লাঢ়রাজ সিংহবাহুও ভগ্নীকে বিবাহ করেন। অজাতশত্রুর স্ত্রী বজিরা ছিলেন তাঁহার মামাতো বোন। আনন্দের স্ত্রী উৎপলবর্ণা ছিলেন তাঁহার পিসতুত বোন। মগধের এক গৃহপতি আপন মামাতো বোন সুজাতাকে বিবাহ করেন। পুণ্ডকাভর-পত্নী সুবন্নপালী ছিলেন তাঁহার মামাতো বোন। লঙ্কার রাজকন্যা চিত্তার বিবাহ হয় তাঁহার মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে। বেদে যম-যমী ছিলেন ভাইবোন। কুন্তীও ছিলেন বসুদেবের ভগ্নী (বসুদেবস্য ভগিনী, মহাভারত, বন ৩০২-২৪)—
স্বসারং বহুদেবস্য শত্রুসঙ্ঘবিমর্দিনঃ।
কুন্তিরাজসুতাং কুন্তীং সর্বলক্ষণপূজিতাম্। আদি ১৫১-২৪
কাজেই বসুদেব হইলেন অর্জুনের মামা (সহিতো বাসুদেবেন মাতুলেন, অশ্ব ৮৩-১৬)। সেই মাতুলের কন্যা সুভদ্রাকে দেখিয়াই অর্জুন কন্দর্পাহত হইলেন—
দৃষ্টৈব তাম্ অর্জুনস্য কন্দর্পঃ সমজায়ত। আদি ২১৯-১৫
শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের অবস্থা দেখিয়া সুভদ্রার পরিচয় দিয়া বলিলেন, যদি তুমি ইহাকে চাও তবে আমি পিতাকে বলি—
যদি তে বর্ততে বুদ্ধির্বক্ষ্যামি পিতরং স্বয়ম্। আদি ২১৯-১৭
অর্জুন বলিলেন, যদি তোমার এই ভগ্নী আমার মহিষী হন তবে আমার পরম উপকার করা হয়—
কৃতমেব তু কল্যাণং সর্বং মম ভবেদ ধ্রুবম্।
যদি স্যান্ মম বার্ষ্ণেয়ী মহিষীয়ং স্বসা তব। আদি ২১৯-১৯
তখন শ্রীকৃষ্ণ বলিলেন, তবে স্বয়ম্বরে কাজ নাই, কারণ তাহাতে ফল সংশয়িত। বরং তুমি ইহাকে হরণ কর; ক্ষত্রিয়দের তাহাতে দোষ নাই (আদি ২১৯, ২১-২৩)। ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে সব কথা জানানো হইলে তিনিও ইহা সমর্থন করিলেন—
শ্রুত্বৈব চ মহাবাহুরনুজজ্ঞে স পাণ্ডবঃ। আদি ২১৯-২৫
এই মামাতো বোন সুভদ্রার গর্ভেই বীরকুলশিরোমণি অভিমন্যুর জন্ম।
বিদর্ভরাজ ভীষ্মক ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের মাতুল। তাঁহার কন্যা রুক্মিণীকে শ্রীকৃষ্ণ রিবাহ করেন। এই কন্যাকে পূর্বে চেদিপতি শিশুপালের সঙ্গে বিবাহ দিবার