পাতা:প্রাচীন ভারতে নারী - ক্ষিতিমোহন সেন (১৯৫০).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সামাজিক অবস্থা: সম্পত্তির অধিকার
৫১

(ঋগ্বেদ ১০. ৮৫. ৬) অর্থ সায়ণ বলেন দাসী। সূর্যার বিবাহে ন্যোচনী দেওয়া হইয়াছিল। কেহ মনে করেন ভূষণবিশেষ। অথর্বে ব্রাত্যসূক্তে ‘প্রবর্ত’ দেখা যায়। তৈত্তিরীয়-সংহিতার টীকার মতে ইহা কুণ্ডল বিশেষ। ‘প্রাকাশ’ (তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ ১. ৮. ২. ৩) বোধ হয় দর্পণ। মৈত্রায়ণী-সংহিতায় ‘প্রাবেপ’ও এই বস্তুই (৪. ৪. ৮)। ঋগ্বেদে (৮.৭৮. ২) দেখা যায়, “সচা মনা হিরণ্যয়া”; সায়ণ অর্থ করেন, মননীয় হিরণ্ময় উপকরণ। ‘রুক্ম’ (ঋগ্বেদ ১. ১৬৬, ১০ ইত্যাদি) হইল বুকের অলংকার। ইহা প্রায়ই স্বর্ণময় হইত। খুব সম্ভব ইহা গোলাকার হইত। ইহা ঝুলাইবার যে হার তাহাকে বলিত ‘রুক্মপাশ' (শতপথ-ব্রাহ্মণ ৬. ৭. ১. ৭. ২৭)। রুক্মিণী ইহা হইতেই সম্পন্ন শব্দ। ষড়্‌বিংশ ব্রাহ্মণে (৫. ৬) ‘বি-মুক্তা’ও দেখা যায়। অথর্বে ‘শঙ্খ’ দেখা যায় (৪. ১০. ১); তাহার সম্বন্ধে সায়ণ বলেন, উপনয়নের পরে বালকের দেহ শঙ্খমণির দ্বারা ভূষিত করিবে, “শঙ্খমণিং বধ্নীয়াৎ”। তৈত্তিরীয়-ব্রাহ্মণে (২.৩. ১০. ২) ‘স্থাগর’ নামক অলংকারের উল্লেখ আছে, কিন্তু জিনিসটা কি তাহা বুঝা গেল না। ‘স্রজ্’ মালা বা হারের নাম বহু স্থলেই উল্লিখিত (ঋগ্বেদ ৪. ৩৮. ৬ ইত্যাদি)। ‘মণি’ শব্দও বেদে বহুস্থানে পাওয়া যায় (ঋগ্বেদ ১. ৩৩. ৮), হারে গাঁথিয়া গলায় মণি ঝুলানো হইত। যজুর্বেদ পুরুষমেধপ্রসঙ্গে মণিকারেরও উল্লেখ আছে।