হ্রস্বপ্রবাসিনাং শূদ্রবৈশ্যক্ষত্রিয়ব্রাহ্মণানাং
ভার্যাস্সংবৎসরোত্তরং কালমাকাঙ্ক্ষেরন্ অপ্রজাতাঃ
যদি পতিরা স্ত্রীদের ভরণপোষণের প্রতিবিধান করিয়া বিদেশে গিয়া থাকেন তবে তাঁহারা ইহার দ্বিগুণ কাল প্রতীক্ষা করিবেন—
প্রতিবিহিতাঃ দ্বিগুণং কালম্। ঐ
ভরণপোষণের ব্যবস্থা না করিয়া গিয়া থাকিলে সম্পন্ন জ্ঞাতিগণ চার বা আট বৎসর সেই প্রোষিতার স্ত্রীদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করিবেন—
অপ্রতিবিহিতাঃ সুখাবস্থা বিভূয়ুঃ পরং চত্বারি বর্ষাণাষ্টৌ বা জ্ঞাতয়ঃ। ঐ, ২৮
তাহার পর পতিকুল হইতে প্রাপ্ত ধন স্ত্রীগণের নিকট আদায় করিয়া জ্ঞাতিগণ তাহাদিগকে পুনরায় বিবাহ করিবার জন্য মুক্তি দিবেন—
ততো যথাদত্তমাদায় প্রমুঞ্চেয়ুঃ। ঐ ২৯
অধ্যয়নার্থ বিদেশগত ব্রাহ্মণের অপ্রজাতা পত্নী দশ বৎসর এবং প্রজাতা পত্নী দ্বাদশ বৎসর প্রতীক্ষা করিবেন। স্বামী যদি রাজপুরুষ হন এবং রাজকার্যে বিদেশে গিয়া থাকেন তবে আয়ুক্ষয় পর্যন্ত পত্নী প্রতীক্ষা করিবেন—
ব্রাহ্মণমধীয়ানং দশবর্ষাণ্যপ্রজাতাঃ দ্বাদশ প্রজাতাঃ। রাজপুরুষমায়ুঃক্ষয়াদাকাংক্ষেত। ঐ পৃ ১৫৯
তবে ইতিমধ্যে স্বজাতি কোনো পুরুষের ঔরসে যদি তাহার সন্তান হয় তবে সেই স্ত্রী অপবাদভাগিনী হইবে না—
সবর্ণতশ্চ প্রজাতা নাপবাদং লভেত। ঐ
কারণ, হয়তো বংশলোপভয়েই সেই স্ত্রী স্বজাতির দ্বারা সন্তান উৎপাদন করাইয়া থাকিবেন। কিন্তু যদি প্রোষিতার পত্নীর জ্ঞাতিকুটুম্ব না থাকেন, অথবা সম্পন্ন জ্ঞাতিরা ভরণপোষণ না দিয়া ছাড়িয়া দেন অথবা ভরণপোষণের উপযুক্ত সম্পদও যদি তাঁহার না থাকে, তবে তিনি ভরণপোষণসমর্থ পত্যন্তর গ্রহণ করিতে পারেন,
কুটুম্বর্ধিলোপে বা সুখাবস্থৈর্বিমুক্তা যথেষ্টং বিন্দেত। ঐ
অর্থশাস্ত্র যদিও পূর্ব-অধ্যায়েই সাধারণভাবে বলিয়াছেন, ধর্মবিবাহে বন্ধন ছেদন হয় না, তবু এখন বিশেষস্থলে বলিতেছেন, ধর্মবিবাহে পরিগৃহীতা কুমারী