পুরা কল্পে তু নারীণাং মৌঞ্জীবন্ধন মিষ্যতে।
অধ্যপনং চ বেদানাং সাবিত্রীবচনং তথা।
পিতা পিতৃব্যো ভ্রাতা বা নৈনামধ্যাপয়েৎ পরঃ।
স্বগৃহে চৈব কন্যায়া ভৈক্ষচর্যা বিধীয়তে।
বর্জয়েদজিনং চীরং জটাধারণমেব চ।
ঠিক এই বিধানই পরাশর মাধবে দেখা যায়। সেখানেও যম ও হারীত হইতে এই ব্যবস্থা উদ্ধৃত করা হইয়াছে।[১]
সাধনার ক্ষেত্রে নারীরা যথেষ্ট স্বাধীনতা পাইতেন। কেহ কেহ নারীদের এই অধিকার পছন্দ করেন নাই। মহাভারতে দেখা যায়, কুনির্গর্গ নামে এক মহাবীর্য ঋষি ছিলেন (শল্য ৫২.৩), তাঁহার কন্যা কঠোর তপস্যা করিয়াও পরমা গতি লাভ করিতে পারেন নাই। নারদ বলিলেন, হে অনঘে, তোমার বিবাহসংস্কার হয় নাই, তখন কেমন করিয়া পরমলোক লাভ হইবে?—
অসংস্কৃতায়াঃ কন্যায়াঃ কুতো লোকাস্তবানঘে। শল্য ৫২.১০
তখন কন্যা বিবাহার্থিনী হইয়া তাঁহার তপস্যার অর্ধফল দিয়াও যে-কোনো বরকে প্রার্থনা করায় মুনি গালবি তাঁহাকে বিবাহ করিয়া একরাত্রি মাত্র তাহার সঙ্গে বাস করেন (শল্য ৫২.১৩-২২)। ৫২তম অধ্যায়ে এই কথা। অথচ মহাভারতে সেই পর্বের ৫৪তম অধ্যায়েই সাব্বী কৌমারব্রহ্মচারিণী তপঃসিদ্ধা তপস্বিনী ধৃতব্রতা শাণ্ডিল্যসুতার বহু প্রশংসা আছে—
অত্রৈব ব্রাহ্মণী সিদ্ধা কৌমারব্রহ্মচারিণী।
যোগযুক্তা দিবং যাতা তপঃসিদ্ধা তপস্বিনী
বভূব শ্রীমতী রাজন্ শাণ্ডিল্যস্য মহাত্মনঃ।
সুতা ধৃতব্রতা সাধ্বী নিয়তা ব্রহ্মচারিণী। শল্য ৫৪.৫-৭
স্ত্রীলোক হইলেও তিনি ঘোর তপস্যা করিয়া স্বর্গে গেলেন এবং মহাভাগা সেই নারী দেবব্রাহ্মণ-পূজিতা হইয়া রহিলেন—
মা তু তৃপ্ত্বা তগো ঘোরং দুশ্চরং স্ত্রীজনেন হ।
গতা স্বর্গং মহাভাগা দেবব্রাহ্মণপুজিতা। শল্য ৫৪.৭-৮
- ↑ পরাশর-মাধব, আচারকাণ্ড, দ্বিতীয় অধ্যায়, Bibliotheca Indica, A. S. B. চন্দ্রকান্ত তর্কালংকার কর্তৃক সম্পাদিত, পৃ ৪৮৫