পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য এখন সৰ্ব্ববাদিসম্মত মত হচ্ছে যে, পুষ্টিকর অথচ শীঘ্র হজম হয় এমন-খাওয়া খাওয়া । অল্প আয়তনে অনেকটা পুষ্টি অথচ শীঘ্ৰ পাক হয়, এমন খাওয়া চাই । যে খাওয়ায় পুষ্টি কম, তা কাজেই এক বস্তা খেতে হয়, কাজেই সারাদিন লাগে তাকে হজম করতে ;–যদি হজমেই সমস্ত শক্তিটুকু গেল, বাকি আর কি কাজ করবার শক্তি রইল ? ভাজা জিনিষগুলো আসল বিষ । ময়রার দোকান যমের বাড়ী । ঘি-তেল গরম দেশে যত অল্প খাওয়া অ’ ম?:ণর যায়, ততই কল্যাণ । ঘিয়ের চেয়ে মাখন দেশের খাদ্যের শীঘ্র হজম হয়। ময়দায় কিছুই নাই, "" দেখতেই সাদা। গমের সমস্ত ভাগ যাতে আছে, এমন আটাই সুখাদ্য । আমাদের বাঙ্গলা দেশের জন্য এখনও দূর পল্লীগ্রামে যে সকল আহারের বন্দোবস্ত আছে, তাহাই প্রশস্ত। কোন প্রাচীন বাঙ্গালী কবি লুচি-কচুরীর বর্ণনা কচ্ছেন ? ও লুচি-কচুরী এসেছে পশ্চিম থেকে । সেখানেও কালেভদ্রে লোকে খায় । উপরি উপরি ‘পাকি রমুষ্ট, খেয়ে থাকে এমন লোক ত দেখি নি। মথুরার চোবে কুস্তিগীর লুচি-লড কপ্রিয় ; দুচার বৎসরেই চোবের হজমের সর্বনাশ হয়, আর চাবেজী চুরণ খেয়ে খেয়ে মরেন। 6:૨