পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য থালাতেই সকল খাওয়া খেত। ঐ চাল এখনও পাঞ্জাব রাজপুতানা মহারাষ্ট্র ও গুর্জর দেশে বিদ্যমান। বাঙ্গালী উড়ে ঠেলিঙ্গি মালাবারি প্রভৃতি মাটিতেই “সাপড়ান’ । মহীশূরের মহারাজও মাটিতে আঙ্গই পাতে ভাত ডাল খান। মুসলমানের চাদর পেতে খায়। বৰ্ম্মি জাপানী প্রভৃতি উপু হয়ে বসে মাটিতে থালা রেখে খায়। চীনের টেবিলে খায় ; চেয়ারে বসে, কাটি ও চামচ যোগে খায়। রোমান ও গ্রীকৃরা কোচে শুয়ে টেবিলের ওপর থেকে হাত দিয়ে খেত। ইউরোপীরা টেবিলের ওপর হতে, কেদারায় বসে, হাত দিয়ে পূর্বে খেত ; এখন নানাপ্রকার কাটা-চামচ । চীনের খাওয়াটা কসরং বটে—যেমন আমাদের পানওয়ালীরা দুখানা সম্পূর্ণ আলাদা লোহার পাতকে হাতের কায়দায় কঁচির কাজ করায়, চীনেরা তেমনি ছটো কাটিকে ডান-হাতের দুটো আঙ্গুল আর মুটোর কায়দায় চিমটির মত করে শাকাদি মুখে তোলে। আবার তুটোকে একত্র করে, এক বাটি ভাত মুখের কাছে এনে, ঐ কাটদ্বয়নিৰ্ম্মিত খোস্তাযোগে ঠেলে-ঠেলে মুখে পোরে। সকল জাতিরই আদিম পুরুষ নাকি প্রথম অবস্থায় যা পেত তাই খেত। একটা জানোয়ার মারলে, সেটাকে - 9 ينا