পাতা:প্রিয়বালা.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ। २१ বিম্মত হইয়া নীরদ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি কথা ?—বলেই ফেল না, শুনা যাক ৷” "বলি কি, আমার ভাই নদের চাদের এখন কোন কাজ কৰ্ম্ম নাই । আহা! তা'রা খেতে পায় না। কিন্তু নদের চাদ খুব চালাক, তাত তুমি জান। তুমি তাকে যা বলরে, সে তাই করতে পারবে। সে তোমার অনেক কার্য্যে সহায় হতে পারবে। তাই বলি, যদি তার একটা কোন উপায় করতে পার, বড়ই ভাল হয়।—আমার বাপের বাড়ীর নামটাও বজায় থাকে । কি বল মেজবাবু ?” প্রিয়তমার অনুরোধ অগ্রাহ করিতে না পারিয়া নীরদবাবু বলিলেন, “আচ্ছা, তাকে আমার সহিত একবার দেখা করতে বলিও। দেখি, যদি কোনরূপ সুবিধা করতে পারি।” এইরূপ কথোপকথনে বেল পাঁচটা বাজিল। সূর্য্যের উত্তাপ ক্রমে হ্রাস হইয়া আদিতে লাগিল। নিস্কৰ্ম্ম লোক সকল নিদ্রাদেবীর ক্রোড়ে যথেচ্ছ বিরাম লাভ করিয়া, হস্তপদাদি প্রক্ষালন পূর্বক সন্ধাসমীরণ সেবন করিবার জন্ত মাঠের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। বালকের বিদ্যালয়ের ছুটীর পর গৃহে একবার দেখা দিয়াই আপন আপন সঙ্গীদিগকে লইয়া খেলা করি বর • চেষ্ট করিতে লাগিল। রাখালগণ গোধন লইয়। শ্রুতিমধুর গান করিলে করিতে গৃহাভিমুখে আগমন করিতে লাগিল ! ধেত্বরাজি ইস্ব রলে আপন অপেন বৎসগণ সমভিব্যাহারে গৃহে ফিরিতে লাগুিল । কোথ ও বা কোন শু্যামাসুন্দরী গোপবালা "ালিলায়িত কেশে গোদোহন করিতেছিল, নিকটে বংসটা দণ্ড মান থাকাতে গাভী এক একবার সাদরে তাহার গাত্র লেহন করিতেছে। আর এক একবার গোপকস্তার আলুলায়িত কেশরাশির প্রতি