পাতা:প্রিয়বালা.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ প্রিয়বালা । তদুপরি ঈষৎ বঙ্কিম ভ্রমুগল, দর্শনে বোধ হয় যেন, মন্মথ পুপধনুতে ফুলশর যোজনা করিয়াছেন। আগুলফ বিস্তৃত কেশরাশি ಕ್ಲಿಕ್ಹ ও বের কৃষ্ণবর্ণ। প্রকৃত কথা বলিতে গেলে, যদিও প্রিয়সাল গৌরবর্ণ নহেন, তথাপিও তিনি যে সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দরী, তাহাতে স্নার সহযাত্র সহে नहेि ! প্রিয়বালার রূপ যেমন, গুণ ও তাহার ভুয় যে যে গুণ থাকিলে নারিজাতিকে গুণবতী বলা যায়, প্রিয়কাল সেই সেই সমস্ত গুণেই বিভূষিতা ছিলেন। স্বামী পরম দেবতা এবং স্বামির বাক্যই বেদবাক্য বলিয়া তাহার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। কখন কোন কারণেও তিনি স্বামীকে কোনরূপ কষ্ট দিতেন না। পতির কিসে স্বথ হইবে, কিসে পতি স্বস্বশরীরে থাকিবেন, কিয়ে ঠুংরি মনঃকষ্ট নিবারিত হইবে, এই সকল বিষয়েই প্রিয়বালাৰ চিন্ত একান্ত আশক্ত। অতুলবাবু তাদৃশী গুণবতী ভাৰ্য্যা পাইয়া ইহ জগতেই স্বৰ্গসুখ অনুভব করিতেন। তাহার একমাত্র পুত্র সতীশ, বয়ক্রম পাঁচ বৎসর মাত্র। পিতামাতার গুণে যে, পুত্র ও পরিনামে সৰ্ব্বগুণে গুণবান হইবে, তাহার আভাস পাওয়া যায়। প্রিয়বালাঁ যে কেবল স্বামীভক্তি জানিতেন এমন নহে। গুরুগণের মান রক্ষা করিয়া তিনি সকল দিক বজায় রাধিতে পায়িতেন । তাহার বিবাহের পূর্বেই অতুল বাবুর পিতার স্বর্গারোহণ হয়, সুতরাং প্রিয়াল তাহার শ্বশুরমহাশয়কে দেখিতে পান নাই, শাশুড়ীকে शुश्रटे ভক্তি ও সমাদর করতেন। র্তাগর শাশুড়ী, যখন মধ্যে মধ্যে দিল্লীতে অগ্নিয়া বাস করিতেন, তখন প্রিয়পাল সকল কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া মগ্রে শাশুড়ীর সেবাশুশ্ৰষয় নিযুক্ত হইতেন, এবং যাহাতে ঠহার কোনরূপ অভাব বা ক্রুটি না হয়, সেইদিকে ধিশেষ লক্ষ্য রাখতেন।