পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՏ * প্রেমিক-গুরু নাই, কেবলই পুত্রের মঙ্গল কামনা । পুত্রের গুণ শ্রবণে, পুত্রের প্রশংসা শ্ৰবণে পিতামাতার হৃদয় পুলকিত হয়,—প্রাণ দিয়াও সন্তানের মুখসাধনা সম্পন্ন করিতে পিতামাতা আনন্দ বোধ করেন। ঈশ্বরকে এমনই ভাবে ভালবাসিতে পারিলে, তাহাকেই বাৎসল্যভাব বলে । নন্দ-যশোদা ও মেনকার বাৎসল্যভাব কেবলাভক্তির অন্তর্গত, এবং দেবকী-বসুদেবের বাৎসল্যভাব প্রধানীভূত ভক্তির অন্তর্গত। বাৎসল্যভাবের ভক্তগণ বলেন, বিশ্বেশ্বর আমার পুত্ৰ—আমার স্নেহের সস্তান, "জামি প্রাণের টানে—বাৎসল্যভাবের আকর্ষণে সেবা করিয়া, যত্ন করিয়া প্রতিপালন করিয়া সুখী হইব । র্তাহারা পুত্রজ্ঞানে জীব ও জগতের সেবা করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়া থাকেন। বাৎসল্যভাবে ভক্ত আত্মহারা इहेब यांन । মধুর ভাব —পত্নী যেমন পতিকে ভালবাসে, কাস্তের উপর কাস্তার যেমন অনুরাগ, ভগবানের উপর তেমনই ভালবাসার নাম মধুর ভাব । সৰ্ব্বপ্রকার ভাবের মধ্যে ইহাই শ্রেষ্ঠ ; ইহা জগতের সৰ্ব্বোচ্চ ভাবের উপর স্থাপিত। আত্মোচিতবিভাবাদ্যৈঃ পুষ্টিং নীতাং সতাং হৃদি । মধুরাখ্যে ভবেস্তুক্তিরসোহসে মধুরা রতিঃ ॥ —ভক্তি-রসামৃত-সিন্ধু। আত্মোচিত বিভাবাদি দ্বারা মধুরারতি সৎসকলের হৃদয়ে পুষ্টতা প্রাপ্ত হইলে মধুৱাখ্য ভক্তিরস বলিয়া কথিত হয়। প্রকৃত শৃঙ্গাররসে সমতা দৃষ্টিদ্বারা ভগবৎ-সম্বন্ধীয় মধুত্বাথ্য ভক্তিরস হইতে বিরক্ত ব্যক্তি সকলে উক্ত ভাব অধোগ্যত্ব, দুরূহত্ব, এবং রহস্তত্ব প্রযুক্ত বিস্তৃতাঙ্গ ; আমরা ক্রমশঃ তাহ বিবৃত করিতেছি ।