পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি ○ 》 ভ্যাসে র্যাহার চিত্তশুদ্ধি হইয়াছে-হৃদয়ের ময়লা ধুইয়া গিয়াছে, তাহার হৃদয় ভগবানে আকৃষ্ট না হইয়া পারে না । আকৃষ্ট হইয়া তৎপ্রতি আসক্ত হষ্টলেই ভক্তিলাভ হইল। চিত্তশুদ্ধির সাধনায় পাপমল দূর হইলেই ভক্তি অমনি সাধকের হৃদয় আলো করিয়া প্রকাশিত হয় । কমই মানবের চিওঁ দুষিত করিবার বিশেষ কারণ ; সুতরাং ভক্তিলাভের প্রধান কণ্টক । কারণ কাম ভক্তির সম্পূর্ণ বিপরীত বৃত্তি। সুতরাং একটা থাকিতে অন্যটর বিকাশ হইতে পারে না। তুলসিদাস বলিয়াছেন – র্যাক কাম তাহ রামনস্থি, র্যাহ রাম তাহা নাস্থি কাম । দোনে একত্র নহি মিলে রবি রজনী একঠাম ॥ —র্দেশহাবলী । রাঞ্জিতে স্থৰ্য্যদর্শনের দ্যয় কামুকের ভক্তি অসম্ভব । অতএব কঠোর ব্ৰহ্মচর্য্য অবলম্বন করিয়া কাম দমন করিবে । একমাত্র ব্রহ্মচর্য্য পালন করিলে সম্যক-প্রকারে চিত্ত শুদ্ধি হইবে চিত্তশুদ্ধি হইলে পাপ দমন হইবে এবং ভক্তিলাভের প্রধান কণ্টক কুসঙ্গ, কুচিস্তা, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মৎস্য, হিংসা, নিন্দা, উচ্ছ জ্বলতা, সাংসারিক দুশ্চিন্তা, পাটওয়ারি বুদ্ধি,মিথ্যাভাষণ,পরস্বাপহরণ,বহু আলাপের প্রবৃত্তি কুতর্কেচ্চা, ধৰ্ম্মাড়ম্বর প্রভৃতি চিত্ত হইতে দূরীভূত হইয়। যাইবে। তখন সাধক হৃদয়ে স্নিগ্ধ ও শাস্তি-আলোক বিকীর্ণ করিয়া ভক্তি বিকশিত হইয়া উঠিবে। বৰ্ত্তমান গ্রন্থকার প্রণীত “ব্রহ্মচৰ্য্য-সাধন- অর্থাৎ “ব্রহ্মচৰ্য্যপালনের নিয়মাবলী ও সাধন কৌশল” নামধেয় পুস্তকে কামদমনের ও চিত্তশুদ্ধির উপায় বিস্তৃতভাবে বিবৃত হইয়াছে ; সুতরাং এইস্থানে পুনরায় তাহা লিখিত হইল না। প্রয়োজন হইলে উক্ত পুস্তকখানি দেখিয়া লইবে । সাধুসঙ্গ –কুসঙ্গ যেমন ভক্তিপথের কণ্টক, সৎসঙ্গ তেমনি ভক্তি লাভের সহায় যথা :