পাতা:প্রেম-ভিখারিণী.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e e প্রেম-ভিখারিণী । জন্য কেবলই অন্তর কাদিতেছে, কথন রোগীকে বক্ষে লইয়া কঁাদিতেছেন, কখন শোকগ্রস্ত ব্যক্তির কাতরোক্তিতে অশ্রুপও কারতেছেন। নরেন্দ্র যে ভালবাসা লইয়া কেবল সরোজিনীর জন্ত উন্মত্ত হইয়াছিলেন, সেই ভালবাসা এক্ষণে সমুদয় দেশের উপব নিক্ষিপ্ত করিতেছেন। নরেন্দ্র, দেবেঞ্জর পত্র পাইয়া ভাবিলেন কিরূপে এ দুর্দশ হৃদয়ঙ্গম করিয়া, ইহাদিগের প্রতি নিষ্ঠুর হইয়া সরোজিনীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাই ? অথবা, জন্মশোধ একবার মাত্র সাক্ষাৎ করিয়া, তারপর এ জীবন চিরদিনের জন্ত দরিদ্রের সেবায় নিযুক্ত করিব । কি, এখনি যাইলে লক্ষ লক্ষ প্রাণী চীৎকার করিয়া উঠিবে। বস্তুতঃ মরেন্দ্র যান্থাদিগের সেবা শুশ্ৰুষা কৰিবার জন্ত প্রাণের আসা ভরস ত্যাগ কৰিয়াছেন, তাছাদের সে জীবন্ত কাতরোধি দর্শন করিলে, নিতান্ত পাষাণ হৃদয়েরও হৃদয়ে দয়ার সঞ্চার হয়। নরেন্দ্র ক্ত ধৰ্ম্মভীরু হৃদয়বান পুৰুষ । সে যে কি জীবন্তু চিত্র স্বচক্ষে দর্শণ করিলে উপলব্ধি হয় না। অন্নাভাবে মানুষ পাগলের স্তায় উন্মত্ত, ঔষধাভাৰে বোগী মৃত্যু শয্যায় শায়িত, মাতৃহীন শিশু খাদ্যাভাবে অস্তির, দুগ্ধাভাবে সদ্যজাত শিশু-কণ্ঠ নিরব। শ্ৰীহরি কি এ সকলেব জন্য কিছুই ন্তিরীকৃত করেন নাই ? জঙ্কিবার পূৰ্ব্বে যিনি মাতৃ স্তনে অমৃত পূর্ণ করিয়া রাখেন ; তিনি কি এই লক্ষ লক্ষ প্রাণির প্রতি উদাস ভাবে আছেন? কখন না, কখন না। ঐ লক্ষ লক্ষ প্রাণির বাপ মা দেবেজ এবং নরেন্দ্র । নরেন্দ্র এই সকল দুঃখী দেশে গমন করিয়া, তাহাদের দুঃখ নিবারণ করিতেছেন। নিজের অভুল বিষয় সম্পত্তি পরের সেবায় নিয়োজিত হইতেছে। ভ্রাতা হেমন্তর কথা তাহার প্রায় স্মরণ থাকে ন। জননী পাগলিনীর মত অস্থিরা। নরেন্দ্রকে পাইলে তাহার সকল শোক বিদূরিত হয়। কিন্তু তিনি সকল বিষয়ে উদাসীন