বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांछि1 नीडि St চেষ্টা করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। এইরূপে পর্তুগালেই “কোম্পানী"র জন্ম হইল। কিন্তু তাহা সফল হইল না। র্যাহার রাজাদেশ লাভ করিয়া, এইরূপে “কোম্পানী” নাম গ্ৰহণ করিয়া, ভারত-বাণিজ্যে অগ্রসর হইলেন, তঁাহারা লাভ করিতে পারিলেন না। পর্তুগালের শাসন-প্ৰণালী এরূপ বাণিজ্যের অনুকুল ছিল বলিয়া বোধ হয় না । দেশের লোকে কৃষি-শিল্পের ভার ক্রীতদাসের উপর ন্যস্ত করিয়া, বাণিজ্য লইয়াই ব্যাপৃত হইয়া পড়িয়াছিল। অল্পসংখ্যক লোক এইরূপে ধনশালী হইবার পথ প্ৰাপ্ত হইলেও, দেশের অধিকাংশ লোকে ফললাভ করিত না । তাহারা নানা দুষ্কৰ্ম্মে লিপ্ত হইয়া, স্বদেশে ঘূণার পাত্ৰ হইয়া উঠিয়াছিল। এই সকল লোকেই কারতবর্ষে প্রেরিত হইত। তাহারা উপযুক্ত বেতন প্ৰাপ্ত হইত না ; যে যাহা প্ৰাপ্ত হইত, তাহাতে গ্ৰাসাচ্ছাদনেরও সংকুলান হইত না ? এই শ্রেণীর লোক ভারতবর্ষে আসিয়া, ষে কোনও উপায়ে অর্থে পাৰ্জন করিতে গিয়া, ফিরিঙ্গি-বণিকের সর্বনাশ সাধন করিতে সমুদ্যুত হইল । এরূপ বাণিজ্য-নীতি দীর্ঘকাল জয়লাভ করিতে পারে না । ফলেও তাহাই হইল। বিশ্বাসই বাণিজ্যের জীবন। তাহা সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হইতে চলিল। ভারতবর্ষের লোকে ফিরিঙ্গি-বণিককে বিশ্বাস করিতে পারিল না ; পর্তুগালের রাজা তাহার কৰ্ম্মচারিগণকে বিশ্বাস করিতে পারিলেন না ; কৰ্ম্মচারিগণও পরস্পরকে আর পূর্বের ন্যায় বিশ্বাস করিবার উপায় দেখিলেন না। ;-সকলই যেন ছত্ৰভঙ্গ হইয়া পড়িতে লাগিল। অবশেষে ভারত-প্রবাসী ফিরিঙ্গি সজ্জনগণ পর্তুগালের অধীশ্বরের নিকট আবেদনপত্র প্রেরণ করিয়া আৰ্ত্তনাদ করিতে লাগিলেন। —“রক্ষা কর-রক্ষা কর।” গোয়ানগরীর মহাধৰ্ম্মাধিকার ও তদীয় সহকারিবৃন্দ। ১৫৫২ খৃষ্টাব্দের ২৫ নভেম্বরের আবেদন-পত্রে স্পষ্টাক্ষরে নিবেদন করিলেন,-“ভারতবর্ষে সুবিচার নাই ; রাজপ্ৰতিনিধির