পাতা:ফুলের মালা.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్క్రోు ফুলের মালা । “ঠিক বলিতেছি । সে তোমাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করিবে না। এখন বল মুলতানী—হইবে-না—” তাহার কথা শেষ না হইতেই শক্তি উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল— “এখন আমি চলিলাম ; উত্তর কাল দিব ।” অস্টম পরিচ্ছেদ । বালিকা চলিল, অন্ধকার বনপথে একাকী চলিল। কি ঘোর ভীষণত চারিদিকে আধিপত্য বিস্তার করিয়াছে ; কি এক অদৃপ্ত বিকট ছায়া যেন অন্ধকারের অনন্ত সীমা হইতে উঠিয়া বালিকার অঙ্গুসরণ করিতে করিতে নীরব অট্টহাসি হাসিয়া ভীমগর্জনে বলিয়া উঠিতেছে “পাইবে না—তাহাকে পাইবে না !” শক্তির নির্ভীক হৃদয়ও তাঁহাতে শিহরিয়া উঠিতেছে, চকিতনেত্ৰে চকিত পদক্ষেপে বালিকা বৃক্ষান্তরালের ক্ষণবিভাসিত ক্ষণনিৰ্ব্বাপিত ক্ষীণালোক লক্ষ্য করিয়া অগ্রসর হইতেছে। বনপ্রাস্তে জীর্ণ পুরাতন কালিকা মন্দির । বালিকা দ্বারবর্তী হইল, দ্বার উন্মুক্ত দেখিয়া মন্দির মধ্যে প্রবেশ করিল । মুগ্ময় বা পাষাণ দেব-দেবীর মূৰ্ত্তি এখানে নাই, দাপোজ্জল কক্ষে অজিন চর্বোপরি করুণারূপিণী রমণীর প্রশাস্ত সেীমামূৰ্ত্তি শক্তি আসিতেই মন্দিরসেবাধারিণী বোগিনী তাহাকে ভৎসনা করিয়া বলিলেন, “বংসে, আমি তোমার জন্ত নিতান্ত উদ্বিল্প হইয়া উঠিয়াছিলাম । এত রাত্রি পর্য্যন্ত কোথায় ছিলে? তুমি এরূপ স্বেচ্ছাচারিণী