পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব \96 বহু পরিমাণে উন্নত ছিলেন । রাজ্যের কল্যাণের জন্য তিনি যে সকল ংস্কার বা উন্নতি কল্পনা করিতে পারিতেন, প্ৰজাগণের মস্তিষ্কে সে সকল ধারণা করিবার শক্তিও তখন বিকশিত হয় নাই। दिदांश् ७ जरुठान-नरुठडि যখন শ্ৰী রামচন্দ্রের বয়স ১৮ বৎসর, সেই সময়ে তাহার সহিত স্বগীয় কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয়ের গুণবতী তৃতীয়া কন্যার বিবাহের প্রস্তাব হয় । দাজ্জিলিঙ্গ সহরে শ্ৰীরামচন্দ্রের সহিত কেশবচন্দ্রের কন্যার সাক্ষাৎ হয় এবং সেই সাক্ষাতের ফলে তাঁহার মনে অনুরাগের সঞ্চার হয়। অনুরাগ প্ৰণয়ে পরিণত হয় । বিবাহের প্রস্তাব উঠিলে ইহা তরুণ মহারাজা এবং তদীয় শিক্ষক ও অভিভাবক মিষ্টার কিডেলের অনুমোদন লাভ করে । মহারাজা তাহাকে বিবাহ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া দাৰ্জিলিঙ্গে বিবাহংক্রান্ত প্ৰস্তাব পাকাপাকি করিতে আসেন । যাহা হউক, বিবাহের প্ৰস্তাব প্ৰকাশ্যে রাজপরিবার কর্তৃক অনুমোদিত না হইলেও, গোপনে মহারাজ কত্ত্বক অনুমোদিত হইয়াছিল এবং উভয়ের মধ্যে যে অনুরোগের সঞ্চার হইয়াছিল তাহ কয়েক বৎসর অটুট ছিল। কিন্তু জাতি-বর্ণ ও ধৰ্ম্ম-সংক্রান্ত অনৈক্যের জন্য কেবল রাজপরিবারভুক্ত ব্যক্তিগণ কেন, ময়ুরভঞ্জের প্রজাবৃন্দও এইরূপ অসবর্ণ বিবাহের বিরোধী হইয়াছিলেন। অবশেষে প্ৰজাগণের ইচ্ছানুসারে ও কতিপয় উচ্চপদস্থ রাজপুরুষের উপদেশমতে মহারাজা বাধ্য হইয়া এই বিবাহের সঙ্কল্প মন হইতে দূর করিয়া দেন । প্ৰথম প্ৰণয়ের নিস্ফলতায় তরুণ মহারাজা যে মৰ্ম্মাহত হইয়াছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। যাহা হউক, অবশেষে ১৮৯৬ শ্ৰীষ্টাব্দে শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ছোটনাগপুরের মহারাজা নীলমণি সিংহের পৌত্রী লক্ষ্মীকুমারী দেবীকে বিবাহ করেন। শ্ৰী রামচন্দ্রের বয়স তখন ২৫ বৎসর। বিবাহের সময়ে লক্ষ্মীকুমারীর বয়স ছিল ১৬ বৎসর। তিনি অসামান্য