পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব (oዓ মহারাণীর স্মৃতি-রক্ষা মহারাণী লক্ষ্মীকুমারীর স্মৃতি-রক্ষার জন্য ১৯০৬ খ্ৰীষ্টাব্দে “লক্ষ্মীকুমারী ধৰ্ম্মশালা” প্রতিষ্ঠিত হয়। বারিপদ নগরীতে কোনও অপরিচিত ব্যক্তি বা পৰ্য্যটক আগমন করিলে এই ধৰ্ম্মশালায় তিনি আশ্রয় লাভ করিতে পারেন । এতদ্ব্যতীত “রাণীবাগ” নামক একটা সুন্দর বাগানও তাহার স্মৃতিরক্ষার নিমিত্ত তৈয়ারী করা হয়। এই বাগানের ভিতরে একটি মৰ্ম্মর স্তম্ভও তাহার পুণ্যস্মৃতির দ্যোতক । এই স্তম্ভগাত্রে মহারাণীর উদেশে একটি বাঙ্গালী কবিতা খোদিত আছে। “মহারাজা’-উপাধি-প্ৰাপ্তি ১৮৯২ খৃষ্টাব্দ হইতে শ্ৰী রামচন্দ্র রাজকাৰ্য্যে ব্ৰতী হয়েন । তিনি পূর্ণভাবে রাজ্যশাসনব্যাপারে আত্মনিয়োগ করেন এবং এরূপ যোগ্যতার সহিত রাজকৰ্ত্তব্য পালন করিতে থাকেন যে, দশ বৎসরেই তাহার সুশাসন ও কর্তব্যনিষ্ঠার প্রতি ব্রিটিশ গবমেণ্টের মনোযোগ আকৃষ্ট হয। এই দশ বৎসরে তিনি ময়ুরভঞ্জ রাজ্যের এরূপ উন্নতি সাধন করেন যে, ব্রিটিশ গবমেণ্ট তাহার যোগ্যতায় সন্তুষ্ট হইয়া ১৯০৩ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁহাকে ‘মহারাজা” উপাধিতে ভূষিত করেন। তাহার প্ৰজাবৃন্দ শিষ্টাচার-হিসাবে তাহাকে মহারাজা বলিয়াই সম্বোধন কিরিত ; কিন্তু এইবার তাহারা অবাধে তাহাকে মহারাজা বলিয়া সম্বোধন করিবার অধিকারী হইল। ১৯০৩ খ্ৰীষ্টাব্দের মাৰ্চমাসে সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ডের রাজ্যাভিষেক-উপলক্ষে এই উপাধির সনন্দ তাহাকে দেওয়া হয। বাঙ্গালার তদানীন্তন অস্থায়ী ছোটলাট স্তর জেমস এ বোডিলন বেলভেডিয়ার প্রাসাদে শ্ৰীরামচন্দ্রকে ‘মহারাজা’-উপাধির মানপত্ৰ প্ৰদান করিবার সময়ে বলেন, ঃ-“আপনার সহিত পরিচিত হইবার সুযোগ-লাভের পূর্বে বাঙ্গালার ভূতপূৰ্ব ছোটলাট বাহাদুরের