পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু ११ উপবাচক হইয়াই লিখিতাম, কখনও কখনও তিনি ইচ্ছা করিয়াও আমাকে লিখিতে বলিতেন। - অনেকে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, বঙ্কিম ও দীনবন্ধু প্রসঙ্গ লিখিতে নিজের কথা কেন । একটা বিষয়ের কৈফিয়ৎ দিবার জন্তাই নিজের কথা বলিতে বাধ্য হইতেছি। “ভারতী”র “বঙ্কিম-যুগ” প্রবন্ধের লেখকের সহিত কথা-প্রসঙ্গে আমি বলিয়াছিলাম যে, কৃষ্ণকান্তের উইলের কোনও কোনও পরিচ্ছেদে, আর উহার উইল চুর পরিচ্ছেদে আমার একটু আধটু লেখা আছে। এখন বুঝিতেছি, তাহার ধারণা হইয়াছিল যে, পরিচ্ছেদটী সমুদয় আমার লেখা। তজ্জন্ত ১৩১৮ সালের কাৰ্ত্তিক-সংখ্যার “ভারতী’তে “বঙ্কিম-যুগ” প্রবন্ধে তিনি ভ্রমবশতঃ লিথিয়াছিলেন যে, রোহিণী ও কৃষ্ণকাস্তের হাস্তরসের কথোপকথনট আমারই লেখা। আমি তাহাকে কখনও এমন কথা বলি নাই যে, ঐ অংশটুকু আমার লেখা। আমি যদি পূৰ্ব্ব হইতে র্তাহার নিকট পরিচিত থাকিতাম, তাহা হইলে তাহার এমন সাংঘাতিক ভ্রম হইত না । তাহার সহিত ঐ আমার প্রথম আলাপ। “উইলচুরী" পরিচ্ছেদে আমার কতটুকু লেখা আছে, তাহা নিম্নে বুঝাইতেছি। একদিন বঙ্কিমচন্দ্র কৃষ্ণকান্তের উইলচুরী পরিচ্ছেদে লিখিতেছিলেন, এমত সময়ে পাচটার ট্রেণে কলিকাতা হইতে র্তাহার দুইটি বন্ধু আসিলেন। তিনি কাগজ কলম ফেলিয়া উঠিলেন। আমি তাহাকে অনুরোধ করিলাম,“কি লিখিতেছিলেন—বলিয়া দিন, আমি উহ! লিখিব।” তিনি আমার আবদার রক্ষা করিয়া হাসিতে হাসিতে