পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু סא"ש করিতে আসিলেন। তাহার অধীনে রোডসেন্স ডিপার্টমেণ্টে একটা চাকুরী খালি ছিল। ব্রাহ্মণ-পুত্রকে বঙ্কিমচন্দ্র ঐ চাকুরী দেওয়াইলেন। আবার মাস দুই বাদে দীনবন্ধু উহাকে সবপোষ্টমাষ্টারী পদে বাহাল করিয়া পরওয়ানা পাঠাইলেন । ঘটনাটি অতি সামান্ত, এইরূপ উপকার অনেকেই করিয়া থাকেন, কিন্তু এই ব্রাহ্মণের দারিদ্র্যের পরিচয় শুনিয়া দীনবন্ধু ও বঙ্কিমচন্দ্র তাহার কষ্ট সত্বর বিমোচন করিতে কিরূপ ব্যস্ত হইয়াছিলেন, তাহার পরিচয়স্বরূপ উহ! এ স্থলে উল্লেখ করিলাম । আমি উপরে বলিয়া গিয়াছি যে, নানা প্রকৃতির লোক বঙ্কিমচন্দ্রের নিকটে সৰ্ব্বদা যাতায়াত করিতেন। এখানে আর একটী লোকের কথা বলিলে সেকালের পল্লীগ্রামের কবির পরিচয় পাইবেন । ইহার নিবাস আমাদের বাটীর অৰ্দ্ধক্রোশ পূৰ্ব্বে মাদ্রালগ্রামে, নাম কৃষ্ণমোহন মুখুয্যে। ইনি সম্পত্তিশালা ব্যক্তি ছিলেন । বাটীতে দোল দুর্গোৎসব হইত। ইনি এক জন উপস্থিত কবি ছিলেন । এই কবি সৰ্ব্বদা বঙ্কিমচন্দ্র ও র্তাহার ভ্রাতৃগণের নিকট আসিতেন, সকলেই তাহাকে নানা প্রকার প্রশ্ন করিতেন, কিন্তু । কেহই তাহাকে পরস্ত করিতে পারিতেন না । বঙ্কিমচন্দ্র কখনও তাহাকে কোনও প্রশ্ন করেন নাই। একদিন কবি বঙ্কিমচন্দ্রকে বলিলেন, “আপনি কখনও আমায় প্রশ্ন করেন নাই, আমার ইচ্ছা, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিই।” বঙ্কিমচন্দ্র হাসিয়া বলিলেন, ' *আচ্ছা!” অল্পক্ষণ পরেই একটি প্রশ্ন করিলেন— “গগনেতে ডাকে শিবা হুয়া হয় করে।”