পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 বঙ্কিম-প্রসঙ্গ এই প্রশ্নে সকলেই বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “এ কি উদ্ভট প্রশ্ন ? যাহা কখনও পৃথিবীতে ঘটে নাই, তাহার কবিতা কিরূপে হইবে ? আকাশে কখনও কি শেয়াল উঠেছে যে, গগনেতে হুয়া হুয়া করে’ ডাক্বে ?" এইরূপে সকলে পরস্পরে বলাবলি করিতেছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র এই ভৎসনাতে মৃদু মৃদু হাসিতেছিলেন, কবিবর মস্তক নত করিয়া ভাবিতেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতি চাহিয়৷ একটী কবিতা শুনাইতে লাগিলেন। ঐ কবিতার প্রথম দুই চারি পংক্তি শুনিবামাত্র বঙ্কিমচন্দ্র চমকিয়া উঠিয়া বলিলেন, “ঘাট হইয়াছে, আপনি অপরাজেয়।” পরে কবিবর সমুদয় কবিতাটি শুনাইলেন। উহার মৰ্ম্ম এই, লক্ষ্মণ শক্তিশেলে আহত হইলে ধন্বন্তরিপুত্র সুষেণের ব্যবস্থানুসারে হনুমান গন্ধমাদন পৰ্ব্বতে বিশল্যকরণীর পাতা আনিতে গিয়া উহা খুজিয়া না পাইয়া গন্ধমাদন পৰ্ব্বত উপাড়িয়া লইয় যাইতেছিলেন ; পথিমধ্যে স্বৰ্য্যদেবকে বগলে পুরিয়া লইয়৷ পাহাড় মাথায় করিয়া আসিতেছিলেন; ঐ পাহাড়ে বাঘ, ভলুক প্রভৃতি পশুগণ বাস করিত; তন্মধ্যে শিবাগণ ভোরের সময় তাহাদের সংস্কারসিদ্ধ হুয়া হয়৷ ডাক ডাকিয়া উঠিল। দারুণ গ্রীষ্মযন্ত্রণায় এক দম্পতি গৃহছাদে শয়ন করিয়াছিল ; আকাশে ঐ হুয়া হুয়া ডাক শুনিয়া স্বামীর নিদ্রাভঙ্গ করিয়া স্ত্রী বলিল,— “কভু শুনি নাই নাথ, ভুবন মাঝারে, গগনেতে ডাকে শিবা ছয় হুয়া করে।” পরোপকার দীনবন্ধুর জীবনের ব্রত ছিল। তাহার প্রথম পরিচয়