পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નિમ્ન - বঙ্কিম-প্রসঙ্গ রাখিয়া বাট চলিয়া যাইতেন ; আরার কেহ কেহ বা দাড়াইয়। তামাসা দেখিতেন ; কিন্তু দীনবন্ধু অন্য প্রকৃতির লোক ছিলেন। বিপদগ্ৰস্ত লোককে প্রাণপণে সাহায্য করিতেন। করিতেন বটে, কিন্তু র্তাহার একটী বিশেষ রোগ ছিল ; বিপদ হইতে উদ্ধার করিয়া যদি উহাকে নাটকোপযোগী মনে করিতেন, তাহা হইলে কোনও নাটকে সে চরিত্রট অঙ্কিত করিতেন। এই মাতাল বাবুই “সধবার একাদশী”র “ভোলা” মাতাল । বঙ্কিমচন্দ্রের অনেক বন্ধু ছিল, দীনবন্ধুর অসংখ্য বন্ধু ছিল, কিন্তু ইহারা দুই জনে পরস্পরের প্রাণভুল বন্ধু ছিলেন। যখন “বঙ্গদর্শন” প্রকাশিত হয়, তখন বঙ্কিমচন্দ্র ৰ্তাহার “সাহিত্যের সহায়” দীনবন্ধুর নিকট বিশেয় সাহায্য পাইবেন, এমন ভরসা করিয়াছিলেন। কিন্তু “বঙ্গদর্শন”-প্রকাশের অল্পকালমধ্যেই তাহার মৃত্যু হইল। এই সময়ে র্তাহার জন্ত বঙ্গসমাজের চারি দিক হইতে ক্ৰন্দনের রোল উঠিল। কেহ বা সংবাদপত্রে, কেহ বা মাসিক পত্রিকাতে, কেহ বা কবিতাতে কাঁদিতে লাগিলেন। কিন্তু “বঙ্গদর্শন” মৌনাবলম্বন করিয়া রহিল। ইহা অনেকে লক্ষ্য করিয়া অনেক কথা বলিয়াছিলেন, কিন্তু দীনবন্ধুর শোকে “বঙ্গদর্শনে”র যে কণ্ঠরোধ হইয়াছিল, তাহ কেহ বুঝিতে পারেন নাই। প্রায় তিন বৎসর পরে যখন "বদর্শন” বিদায়গ্ৰহণ করিল, তখন বঙ্কিমচন্দ্র ঐ বিদায়-প্রবন্ধে বঙ্গদর্শন-লেখকগণের নিকট কৃতজ্ঞতাস্বীকার করিতে গিয়া দীনবন্ধুর কথা উত্থাপন করেন । কিরূপ কাতরতার সহিত উত্থাপন করিয়াছিলেন, তাহা নিম্নের কয়েক ছত্রে প্রকাশ পাইবে :–