পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের ধৰ্ম্মশিক্ষা ఫి' বঙ্কিমবাবু সম্বন্ধে অনেকে অনেক কথা বলিয়া থাকেন, তাহার অধিকাংশই অমূলক। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে, পণ্ডিতরাজ যাদবেশ্বর তর্করত্ন মহাশয় ঐরুপ একটা কথা লইয়া “নারায়ণ”ক্ষেত্রে দেখা দিয়াছেন। সে কথাটি এই—“পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে ও সংসৰ্গদোষে বঙ্কিমচন্দ্রের পূৰ্ব্বজীবন কিঞ্চিৎ বিক্ষিপ্ত হইলেও, পরে তাহ সংশোধিত হইয়াছিল। সৌভাগ্যবশতঃ পণ্ডিত শশধর তর্কচূড়ামণি মহাশয় এই সময়ে আলবার্ট হলে হিন্দুধৰ্ম্মের ব্যাখ্যা আরম্ভ করিয়া দেন। র্তাহার শ্রোতা ছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র, বন্ধুবর ইন্দ্রনাথ, w + ত্রযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার প্রভৃতি মনীষিগণ । ইহাতেও বঙ্কিমচন্দ্রের উপকার হয়, পিতৃপিতামহের ধৰ্ম্মের দিকে আকর্ষণ বাড়িয় উঠে।” এই কথা কত দূর অসঙ্গত, তাহ বঙ্কিমচন্দ্রের ঐ বক্তৃতা সম্বন্ধে নিয়ে উদ্ধত মন্তব্য পাঠ করিলেই বুঝতে পারা যাইবে। এই বক্তৃতা-সভায় দিন দুই যাইয়া বঙ্কিমবাবু আর যাইলেন না, তাহাতে অনেকে বিস্মিত হইয়াছিল, তন্মধ্যে সুপ্রসিদ্ধ লেখক ত্রযুক্ত চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক জন । তিনি গত বৈশাখ মাসের “নারায়ণ পত্রিকায় বঙ্কিন-স্মৃতি প্রবন্ধে লিখিয়াছেন,—“দুই তিনটি বক্ততায় উপস্থিত হুইবার পর আর তাহাকে (বঙ্কিমবাবুকে ) দেখা গেল না। তখন আমার তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার কৌতুহল জন্মিল। আমি একদিন সুবিধামত র্তার সঙ্গে দেখা করিলাম। প্রসঙ্গক্রমে তর্কচূড়ামণি মহাশয়ের বক্তৃতার কথা তুলিলাম। তিনি হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “কয়দিন তার বক্তৃতা শুনিতে গিাছি