পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ লাম। ওরূপ বৈজ্ঞানিক নাখাতে কতকগুলি অসার লোকে নাচিয়া ধরাকে সরা জ্ঞান করিতে পারে, কিন্তু ওতে কোন স্থায়ী ফল হইতে পারে না । মালা, তিলক ফোট ও শিথা রাখায় যে ধৰ্ম্ম ট্যাকে, আর ঐগুলির অভাবে যে ধৰ্ম্ম লোপ পায়, সে ধৰ্ম্মের জন্য দেশ এখন আর ব্যস্ত নহে। তর্কচূড়ামণি মহাশয় ব্রাহ্মণপণ্ডিত, তিনি এখনও বুঝতে পারেন নাই যে, নানাস্থত্রে প্রাপ্ত নূতন শিক্ষার ফলে, দেশ এখন উছ অপেক্ষ উচ্চ ধৰ্ম্ম চায়। কি হইলে এদেশের সমাজ-ধৰ্ম্ম এখন সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর হয়, সে জ্ঞানই এদের নাই, তাই যা খুসি তাই বলিয়া লোকের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত ।” এই মন্তব্য পাঠ করিয়া কি বুঝা যায় যে, চূড়ামণি মহাশয়ের বক্ততা শুনিয়া বঙ্কিমবাবুর উপকার হইয়াছিল, এবং পিতৃপিতামহের ধৰ্ম্মের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়াছিল ? আসল কথা এই যে, পণ্ডিত শশধর তর্কচূড়ামণি হিন্দুধৰ্ম্ম সম্বন্ধে ধারাবাহিকভাবে কতকগুলি বক্ততা দিবার উদ্বেপ্তে কলিকাতার আসিয়া বঙ্কিমবাবুর সাহায্য চান। তাহার নিকট সাহায্য চাহিবার কারণ এই যে, তখন তিনি ‘নবজীবনে” ও “প্রচারে” হিন্দুধৰ্ম্মের ব্যাখ্যা করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। বঙ্কিববাৰু স্বীকৃত হইলে তাহার বাটীতে ঐ উদ্দেশ্রে একটি অন্তরঙ্গ-সভা বসে ; তাহাতে অনেক সাহিত্যিক ও স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ ভদ্রলোক উপস্থিত হন। Albert Hall বক্তৃতার স্থান স্থির হইল ; বক্ততার একটা দিনও স্থির হইল। প্রথম দিবসে বঙ্কিমচন্দ্র কেবল যে শ্রোত ছিলেন, এমত নহে, তিনি সম্ভী