পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ہ eلا করিয়া ইহা দেখিয়াছিলেন। পরে দ্বার রুদ্ধ করিয়া একটি ঘরে র্তাহার দীক্ষা আরম্ভ হইল। ইহা সমাপ্ত হইতে অনেক বিলম্ব হইল। বাসার লোকে অনাহারে ছিল। দীক্ষাকার্য্য শেষ হইলে, পিতার গুরুদেব দ্বার খুলিয়া নিষ্ক্রান্ত হইলেন। সকলেই লক্ষ্য করিল, র্তাহার পায়ে খড়ম নাই, খালিপায়ে চলিয়া গেলেন। ভজকৃষ্ণ জ্যাঠামহাশয় তখন দীক্ষাঘরে পিতাঠাকুরকে দেখিতে প্রবেশ করিলেন। দেখিলেন, অষ্টাদশবর্ষীয় সুন্দর কিশোর বালক পীতাম্বর-পরিধানে একটি আসনে বসিয়া হাসিতেছেন, কিন্তু তাহার ক্রোড়ে গামছা বাধা একটি পুটলী রহিয়াছে। তিনি পিতাঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার ক্রোড়ে কিসের পুটলী দেখি ” যেমন কোন শিশুর হাতের পুতুল কেহ দেখিতে চাহিলে সে উহা বুকে করিয়া না না বলে, আমার পিতৃদেব সেইরূপ চমকাইয়া "না, না, উহ দেখাইব না" বলিয়৷ পূটলীটি বুকে চাপিয়া ধরিলেন । পুটলীতে কি ছিল পাঠকের বোধ হয় জানিতে ইচ্ছা হইতেছে। উহাতে ছিল—তাহার গুরুদেবের পায়ের খড়ম ও উপবীত । অষ্টাদশ বৎসর বয়ঃক্রম হইতে অষ্টাশী বৎসর বয়ঃক্রম পর্য্যন্ত কখনও কোন দিন তিনি উহা নিজের কাছ-ছাড়া করেন নাই। যদি সরকারী কাৰ্য্যোপলক্ষে কোন দিন কোন স্থানে রাত্রি কাটাইবার আবশ্যক হইত, উহা সঙ্গে লইয়া যাইতেন। এইরূপে সত্তর বৎসর উহা বুকে করিয়া রাথিয় ছিলেন। প্রতিদিন প্রত্যুষে উহার পূজা করিতেন, এবং সেই সঙ্গে সন্ধ্যা-আহ্নিক জপ ইত্যাদি করিতেন। পরে মৃত্যুশয্যায় উহ ত্যাগ করিয়া আমাদের বলিলেন, “উহাতে আমার গুরুদেবের