পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের ধৰ্ম্মশিক্ষা ৯৯ আনিতে অনুমতি কুরিলেন। এই স্থলে পণ্ডিতরাজ লিখিয়াছেন যে সন্ন্যাসী মন্ত্রপূত জল ছিটাইতে ছিটাইতে পিতৃদেব সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হইলেন। কিন্তু আমি শুনিয়াছি, মস্তক হইতে নাভি পর্যন্ত পুনঃ পুনঃ দুই হস্ত চালনা করাতেই পিতাঠাকুর পাশমোড়া দিলেন । ক্রমে ঐরূপ করিতে করিতে জ্ঞান প্রাপ্ত হইলেন। পরে কিছু দুগ্ধপান করাইয়া হরিধ্বনি করিতে করিতে র্তাহাকে বাসায় আনা হইল। মহাপুরুষ স্বেচ্ছায় পিতার সঙ্গে বাসায় আসিলেন, পরে তাহাকে সুস্থ দেখিয়া যাইবার উদ্যোগ করিলেন। ইহা বুঝিতে পারিয়া পিতাঠাকুর শয়নাবস্থাতেই তাহার পদযুগল জড়াইয়া ধরিলেন ! মহাপুরুষ বলিলেন, “ভয় নাই, তুমি মুস্থ হইয়াছ।” পিতাঠাকুর বলিলেন, “তাহ আমি জানি ; তবে আমার একটি ভিক্ষা আছে।” “কি ভিক্ষা ? বল।” “যদি আমার জীবনদান করিলেন, তবে আমায় দীক্ষিত করুন।” মহাপুরুষ বিস্ময়বিষ্কারিতলোচনে অনেকক্ষণ পিতাঠাকুরের প্রতি চাহিয়া রহিলেন ; পরে স্বীকৃত হইয়া একটি দিনস্থির করিয়া বলিয়া গেলেন যে, ঐ দিনের প্রত্যুষে স্নাত হইয়া থাকিবে, তিনি আসিয়া দীক্ষিত করিবেন। ঐ দিনের ঠিক সময়ে তিনি উপস্থিত হইলেন। পিতৃদেবকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিয়া বলিলেন, “ন, ভালরূপ তোমার স্নান করা হয় নাই, এস, আমি বৈতরণী হইতে তোমাকে স্বান করাইয়া আনি “ এই বলিয়া পিতাঠাকুরের হস্তধারণ করিয়া বৈতরণীর জলে তাহাকে অনেকবার ডুব দেওয়াইয়া লইয়া আসিলেন। আমাদের ভজকৃষ্ণ জ্যাঠামহাশয় উহাদের পশ্চাদমুসরণ