পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

') ) 8 বঙ্কিম-প্রসঙ্গ বলিলাম—যাব কি না তাই ভাবছি। যাইবামাত্র হাসি, আর আলিঙ্গন। সে কথা আর কি বলিব । বঙ্কিমবাবুর খাওয়াইবার বন্দোবস্ত বড় চমৎকার ছিল। আদরের খাওয়া ভিন্ন তাহার কাছে কখনই খাই নাই। যখনই গিয়াছি, দুই এক দণ্ড পরেই নানা সামগ্রী প্রস্তুত দেখিয়াছি। যখনই আসিতে চাহিয়াছি, তখনই নানা সামগ্রী খাইয়া আসিয়াছি। ভাবিতাম, এ সব কি মন্ত্রে প্রস্তুত হয়! শীঘ্রই বুঝিতে পারিয়াছিলাম, মন্ত্রেই প্রস্তুত হয়—আর তাহার পত্নীই সেই মন্ত্র। আমি ত অনেকবার গিয়া অনেক দেখিয়ছিলাম। আমার ঋষিতুল্য বন্ধু রামায়ণের বিখ্যাত অনুবাদক হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ব একবারমাত্র আমার সঙ্গে গিয়া বলিয়াছিলেন –‘বঙ্কিমবাবু কি বন্ধুবৎসল । একবার সন্ধ্যার কিছু পরেই পৌঁছিয়া শুনিলাম, তাহার জর হইয়াছে—তিনি অন্দরে গুইয়া আছেন। কিন্তু সংবাদ পাইবামাত্র উঠিয়া আসিলেন, আসিয়া নানা কথা কহিলেন। আমি যতক্ষণ আহার করিলাম, ততক্ষণ আমার কাছে উপবিষ্ট রহিলেন—যেন কোন অমুখই হয় নাই, যেন দেহে ও মনে ক্ষু ভূ আর কিছুই নাই। বঙ্কিমবাবু সাহিত্যানুরাগীদিগের সহিত আলাপ করিতে ভালবাসিতেন—আলাপ করিলে ভাল থাকিতেন। সাহিত্য ও সাহিত্যামুরাগীর সংসর্গ তাহার যেন প্রাণবায়ু ছিল। যে সংসর্গ না পাইলে তাহার প্রাণ যেন ফুলিয়া উঠিত। ষেবার হেমচন্ত্রকে লইয়া যাই, সেবার গিয়া দেখি, মহামহোপাধ্যা তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় আসিয়াছেন। শীতকাল-সন্ধ্য আর্গত্ব