পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্ধুবৎসল বঙ্কিমচন্দ্র ১১৩ বঙ্কিমবাবু যে সময় কাটালপাড়ায় থাকির হুগলীতে কৰ্ম্ম করিতেন, সেই সময়ের মধ্যে আমি ডিপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট হইয়। ঢাকায় যাই। তিনি কিন্তু আমায় বলিয়াছিলেন—“যাইতেছ যাও, কিন্তু ও কাজে থাকিতে পারবে না। আমি ছয় মাসমাত্র ডিপুটগিরি করিয়া উহাতে ইস্তফা দিয়া আসি। তাহার দিনকতক পরে বঙ্কিমবাবু হুগলীতে বাসা করেন। দুইটি বাড়ী ভাড়া করিয়াছিলেন। যোড়াঘাটের ঠিক দক্ষিণ পাশ্বের বাড়ীতে র্তাহার বৈঠকখানা, এবং বৈঠকখানার দক্ষিণে ছুইখানা বাড়ীর পর একটি বাড়ী তাহার অন্দর ছিল। অন্দর-বাটীর পূর্বাংশের চাতালটি স্তম্ভোপরি নিৰ্ম্মিত। উহার নীচে দিয়া গঙ্গার স্রোত প্রবাহিত হইত। ঐ চাতালে, দাড়াইয়া বঙ্কিমবাবু একদিন বলিয়াছিলেন—সদ্ধার পর আমর এইখানে বসিয়া থাকি।” বুঝিয়াছিলাম, নিশীথে আপনারগুলিকে লইয়। ভাগীরথী ভোগ করেন। তিনি স্রোতস্বিনীর শোভা দেখিতে বড় ভালবাসিতেন। বৈঠকখানা-বাড়ীতে তিনটি ঘর ছিল ; তন্মধ্যে মাঝের ঘরটি সৰ্ব্বাপেক্ষা বড়। সেই ঘরে গঙ্গার দিকে একটি বাতায়নের পার্শ্বে একখানি ইজিচেয়ারে বসিতেন। কথা কহিতেন, আর গঙ্গা দেখিতেন। গঙ্গা দেখিয়া তাহার ক্লান্তি বা বিরক্তি হইত না। আমি প্রায় প্রতি শনিবারে সেখানে যাইতাম। কোন শনিবার না গেলে তাহার বড় কষ্ট হইত। আমি প্রায়ই নৈহাট দিয়া যাইতাম। নৌকায় আমায় দেখিতে পাইবামাত্র বাটের নিকটে জানালার কাছে আসিয়া দাড়াইতেন। একবার ঘাটে নৌকা পেছিবামাত্র আমি নামিলাম না দেখিয়া বলিলেন,-“এস :আমি w”