পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oo - -- বঙ্কিম-প্রসঙ্গ অক্ষয়কুমার, রাজেন্দ্রলাল প্রভৃতি গদ্য গ্রন্থ লিথিয়া খ্যাতিলাভ করিয়াছেন। কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, মার্শম্যান সাহেব, য়েটস্ (Yates) সাহেব প্রভৃতির কথা ধরিব না। মুক্তারামের আরবীরোপাখ্যান ও অপূৰ্ব্বোপাখ্যান, মদনমোহনের ঋজুপাঠ ব। তৃতীয় ভাগ শিশুশিক্ষা বাঙ্গালা গদ্যের আদর্শ। তখনও আদর্শ, এখনও আদর্শ। তারাশঙ্করের স্ত্রীশিক্ষাবিষয়ক প্রান্ত-পারিতোষিক প্রবন্ধ যেমন সরল রচনার দৃষ্টান্ত, তাহার কাদম্বরী’ তেমনই শব্দচ্ছটায় এবং ভাবঘটায় মোহকরী। ১৮৪৯ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ‘জীবনচরিত’ প্রকাশিত হয়,—ইংরাজির এইরূপ প্রাঞ্জল অনুবাদ প্রায় দেখা যায় না। তাছার পর বেতাল পচিশ’ ও ‘বোধোদয়’ । প্যারীচঁাদ মিত্র তখন মাসিক পত্র’ ও ‘আলালের ঘরের দুলাল প্রভৃতি প্রকাশিত করেন। বঙ্কিমবাবু বহুপরে বলিয়াছেন যে, ঐ গ্রন্থ বাঙ্গালা গদ্যে যুগান্তর আনয়ন, করে। অক্ষয়কুমারের তিনখানি চারুপাঠ ও বাহ বস্তুর সহিত মানব-প্রকৃতির সম্বন্ধবিচার প্রকাশিত হইয়াছে; আর বোধ করি রাজেন্দ্রলাল মিত্রের প্রাকৃত ভূগোল ও বিবিধার্থসংগ্রহের প্রথম ভাগ প্রকাশিত হইয়া থাকিবে। তা’ ছাড়া এই সময়ে ‘তত্ত্ববোধিনী’ ও ‘সমাচার-চন্দ্ৰিকা' ত ছিলই, এডুকেশন গেজেটও প্রকাশিত হইয়াছিল। t যাহা হউক, ঠিকঠাক বলিতে পারি আর নাই পারি, বঙ্কিমবাবুর বিজ্ঞাপন লেখার সময় বাঙ্গালা গদ্য বঙ্গ-রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ হইয়া অপূৰ্ব্ব রঙ্গ দেখাইতেছিল। বাঙ্গালায় গদ্য, একটা শিক্ষার উপায়,