পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম গদ্য রচনা לסל এবং উপভোগের সামগ্ৰী হইয়াছিল। সাহিত্যের ধুসার এখন আর কবিতার সীমাবদ্ধ থাকে নাই, গদ্যকেও আত্মসাৎ করিয়াছিল; ঈশ্বর গুপ্তের সহিত ঈশ্বর বিদ্যাসাগরের নাম সমানে ঘোষিত । হুইতেছিল । o 鄉 ১৮৫৬ সালের বঙ্কিমবাবুর বিজ্ঞাপন-পাঠে মনে হয়, এই গদ্য-সম্পং বঙ্কিমবাবু একান্ত উপেক্ষা করিয়াছিলেন। কেবল যে ‘অত্র কবিতা'য়, ‘হইবায়’ এইরূপ শব্দ দেখিয়া বলিতেছি, এমন নহে । ‘হইবেক’, ‘জন্মিবেক’ এরূপ কান্ত পদ আরও অনেকদিন পর্য্যন্ত ছিল। তাহার জন্তও বলি না । সমস্ত লেখাটী পড়িলেই মনে হয়, সাগরী যুগের রঙ্গ এই লেখায় একটুও প্রতিফলিত হয় নাই। সেই অপূৰ্ব্ব গদ্যের প্রসাদগুণের প্রভাব এই বিজ্ঞাপনে প্রকাশ পায় নাই। মনে হয়, গ্রন্থকার সেই গদ্যের প্রভাব তখন • অনুভব করেন নাই—প্ৰত্যুত সেই গদ্য একান্ত উপেক্ষাই করিয়াছেন। ‘অত্র কবিতা’, ‘মনোনীত হইবায়’ ইত্যাদি পরিষ্কার আদালতি, বাঙ্গালা ; তাহার পর আমরা যখন উপসংহার পাঠ করি,— "অপেক্ষাকৃত নবীন বয়সের অজ্ঞতা ও অবিবেচনা জনিত তাবৎ লিপিদোষের এক্ষণে দণ্ড লইতে (গ্রন্থকার ) প্রস্তুত নহেন", তখন মনে হয়, কোন বালক আসামী রায় যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট বাহাদুরের সমক্ষে, উকীলের শিক্ষামত কাতরতা জানাইতেছে। লেখাটিতে আদালতি ঢং জাজ্জ্বল্যমান। তাহার উপর অাছে—পণ্ডিতি ঢং । অষ্টাদশ বর্ষ বয়সে টোলের