পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ পড়া বমি অনেক পড়িয়াছিলেন। তাহাতেই আমরা দেখিতেছি—র্তাহার ভাষায় পণ্ডিতি প্রবেশ লাভ করিয়াছিল। ‘সুকাব্যলোচক’ পণ্ডিতি বেশ, কিন্তু বাঙ্গালী নহে। “গুণ হয়ে দোষ হৈল বিদ্যার বিদ্যায়।”—‘সু’ দেখিতেছি, তাহার হাতে পড়িয়া প্রায় ‘কু’ হইয়াছে। "মুকাব্যালোচক’, ‘স্বত্তীর্ণ আর ‘স্বরসঙ্গ, এরূপ ‘মু’ ত ভাল নহে। ‘সু’ ছাড়িয়া দেওয়া যাউক । “কাব্যালোচক—যে আলোচনা করে, সে অবশ্য শাস্ত্রমত আলোচক; কিন্তু এইরূপ শাস্ত্র লইয়া আমরা ত লেখা-বলা করি না ; কাব্যলোচক কথা ত তাহার পরে আর খুজিয়া পাই না । ‘পদ্ধতির পরীক্ষা পদবীরূঢ়–বেশ পণ্ডিতি বটে, কিন্তু যে পাণ্ডিত্যবলে বিদ্যাসাগর মহাশয় বেতালপঞ্চবিংশতি গ্রন্থে লেখেন,—“পদবীতে পদার্পণ", তাহাত পদবীরূঢ়" পদে পাওয়া গেল না। নব্য লেখক গণকে বঙ্কিমবাবু উপদেশ দেন, “যাহা কিছু লিখিবে, সুন্দর করিয়া লিখিবে” –“পদবীতে পদার্পণে” যে সৌন্দৰ্য্য আছে, তাহ “পদবী রূঢ়”তে নাই। এ সমালোচনা এই পর্য্যন্ত। আমরা কেবল এইমাত্র দেখাইতে চাই,—যিনি এক সময়ে বাঙ্গালা গদ্যের শায়েনশা সম্রাট হন, তিনি আঠার বৎসর বয়স পর্যন্ত সেই ঐশ্বৰ্য্যময় গঞ্চের আলোচনা করেন নাই, প্রভূত একান্ত অবহেলাই করিয়াছিলেন। । বাঙ্গালা সাহিত্য বলিতে তখন সাধারণে বাঙ্গাল কবিতাই বুৰিত। সে সাহিত্যে র্তাহার অবহেলা ত ছিলই না, গুপ্তে শিষ্যত্ব-স্বীকারেই সে কথার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। সংস্কৃত