পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ○ソ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ হাতে লণ্ডভণ্ড হইবার ভয়ে, বঙ্কিমকে কেহ অহঙ্কারের আলোক আবরণ দিয়া, ঘিরিয়া রাখিয়া থাকেন ? অন্ত কথা বুঝি আর না বুঝি, এই বুঝি যে, বঙ্কিমকে অহঙ্কার বলিলে তাহার মর্যাদা হানি করা হয় না। কোন সত্য কথাতে, কাহারও হানি করা হয় না ; বিশেষ বঙ্কিম অহঙ্কারী ছিলেন বলিয়া, তিনি দাম্ভিক ছিলেন, এমন কথা বলিতেছি না। পিতৃদেব ও আমার সহিত পরিচয়-কাহিনী গোড়া হইতেই বলা ভাল। ৬০।৬১ সালে পিতা যখন জাহানাবাদে মুনসেফ, বঙ্কিমবাবুর মেজদাদা সঞ্জীবচন্দ্র, তখন জাহানাবাদে সব রেজিষ্ট্রার হইয়া গেলেন। সেই অবধি র্তাহাদের দুই জনে বন্ধুত্ব হয়। বঙ্কিমবাবু বহরমপুরে যাইতেছেন, বলিয়া সঞ্জীববাবু পিতাকে পত্র লেখেন, আমাদের বাসায় উঠবেন বলিরা জানাইয়া রাখেন, এবং কাছারীর নিকট বঙ্কিমবাবুর জন্ত একটা বাট ভাড়া করিবার জন্ত অনুরোধ করেন। আমি অবশু পাঁচটা বাড়ী দেখিয়া শুনিয়া, একটী বাড়ী ঠিক করিয়া, ঝাড়াইয়া ঝুড়াইয়া রাখিলাম, জল তুলাইয়া রাখিলাম, একটা ঠিক চাকরকেও রাখিয়া দিলাম। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, বঙ্কিমবাবুর কপালকুণ্ডলা পড়িয়া আমি কাব্যে গুণ-পণায় মুগ্ধ হইয়াছিল, সুতরাং কেবল আতিথ্যের খাতিরে ঘুহে, প্রকৃত ভক্তিভরে, আনন্দসহকারে, এই সকল কাৰ্য্য করিয়াছিলাম। যথাকালে বঙ্কিমবাবু আসিলেন, আহারাদি করিলেন, শুনিলেন যে, আমি গৃহবাসী গঙ্গাচরণ বাবুর পুত্র, বি,এল পাশ করির বহরমপুরে ওকালতি করিতে আসিয়াছি । আহারের পর বিশ্রাম করিলেনঃ