পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ שס\ל তাহাকে দেখিতে গেলাম। বঙ্কিমবাবু “আমুন” বলিয়া পিতাকে সংবৰ্দ্ধনা করিলেন। এবার মনে হইল, পিতাকে আমুনের সম্বোধনে, ব্র্যাকেটের মধ্যে আমিও যেন আছি। আমার নিযুক্ত সেই চাকর, সেইরূপ তিনখানি কেদার বাহির করিয়া দিল, বঙ্কিমবাবুর আদেশমত পিতাকে তামাক দিল, আমরা তিন জনে বসিয়া রহিলাম। পিতার সহিত বঙ্কিমবাবুর কথোপকথন হইতে লাগিল। আমি জনাস্তিকে দুই এক কথার টোপ ফেলিতে লাগিলাম। বঙ্কিমবাবু কিন্তু টােপ ধরিলেন না। তবে আমি এবার বুক বাধিয়া গিয়াছি, বঙ্কিমবাবুর এই ভাব গায়ে কিন্তু মাখিলাম না ; তৰে মনে মনে এমন ভাবটা হইয়া থাকিবে যে,— “কাদা মাথা সার হ’ল মোর, মাছ ধরা হল না!” এইরূপে দিন যায়। বঙ্কিমবাবু নিজেই বলিয়াছেন, দিন কাহারও জন্ত বসিয়া থাকে না । আমারও দিন আটকাইয়া রহিল না। যতদিন পিতা বহরমপুরে ছিলেন,ততদিন বঙ্কিমবাবু মাঝে মাঝে এক একবার আসিতেন, পিতার সহিত গল্প গুজোব করিয়া চলিয়া যাইতেন । তাহার পর পিতৃদেব চলিয়া গেলেন, আমি এক বাসায় রছিলাম। বঙ্কিমবাবু আর আসেন না। আমিও অবঙ্গ যাই না। কিসের একটা ৪৫ দিনের ছুটী হইল। বঙ্কিমবাবুও বাড়ী আসিবেন, আমিও বাড়ী আদিব। নলহাটিতে আসিয়া দুই জনের দেখা সাক্ষাৎ। সাত সাত ঘণ্টা কাল, নলহাটিতে বিশ্রাম বা কষ্ট ভোগ করিতে হইবে, তাছার পর হয় ত ইষ্ট-ইণ্ডিয়ান গাড়ী আসিবে, নয় ত দুই ঘণ্টা বিলম্বেও আসিতে পারে। সেকেও