পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র কাটালপাড়ায় > 8ぐ হয় ; প্রচুর পাকা কাটাল ও পাক আনারস বিক্রি হয়, তেলেভাজা পাপোর ও ফুলুরির গাদি লাগিয়া যায়, আট দশখানা বড় ਬਚ ময়রার দোকান বসে, গজ, জিলিপি, লুচি, কচুরি, মিঠাই, মিহিদান, মুড়িমুড়কি, মটর-ভাজা, চিড়ে, চি ড়েভাজ যথেষ্ট থাকে। আগে ঘিয়ের খাজা থাকিত এখন আর সেগুলি দেখিতে পাওয়া যায় না। মেলায় মণিহারী দোকান অনেকগুলি থাকে। তাহাতে নানা রকম বাণী, কাগজের পুতুল, কাঠার উপর লাফ দেওয়া হনুমান, কটুকটে ব্যাঙ, কিনিতে পাওয়া যায়। এ সব ত গেল ছেলেদের। বুড়োদের একটা বড় দরকারী জিনিস এই মেলায় বিক্রি হয়—নানা রকম গাছের কলম । আমাদের দেশে যাহারা বাগান করিতে চায়, তাহাদের চারা কিনিবার এই প্রধান সুযোগ। অনেক নারিকেলের চারা, আমের কলম, নেবুর কলম, মুপারির চারা, লকেট ফলের গাছ, গোলাপজামের গাছ, পিচের গাছ, সবেদার গাছ, ফলসার গাছ, এবং গোলাপ,যুঁই, জাতি, বেল, নবমালিকা, কামিনী, গন্ধরাজ, মুচুকুন্দ, বক, কুরচি, কাঞ্চন, টগর, সিউলি প্রভৃতি নানা ফুলেরচার ও কলম পাওয়া যায়। মেল। আট দিন হয়। প্রথম প্রথম বলিয়া দিলে মালীরা, যে কোনও গাছের চারা চাওয়া যায়, আনিয়া দিতে পারে। আগে পুতুল-নাচের খুব ভাল ব্যবস্থা ছিল। প্রকাও এক দোচালার মধ্যে প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ রকমের পুতুল নাচ হইত। সীতার বিবাহ, লবকুশের যুদ্ধ, কালীয়দমন, এ সব ত ছিলই, তার উপর একটা মকদ্দমার সঙ, ছিল—জজসাহেব বসেছেন, পেশকার কাগজ পেশ করিয়া দিল, কাঠগড়ায় আসামী থাকিল, সাক্ষীর 3 e :