পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> & 8 বঙ্কিম-প্রসঙ্গ মৃঢ়স্বরে বন্নিলাম, “সঞ্জাববাবুর ভয়ে।” তাহারা সকলেই ত হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিলেন। সঞ্জাববাবু বলিলেন, “আমার ভয় ? কেন ?” “শুনিয়াছি, কামিনীগাছের ফুল ছিড়িলে আপনি নাকি মারেন।” , হাসির মাত্রা আরও বাড়িয়া গেল। বঙ্কিমবাৰু জিজ্ঞাসা করিলেন, “নৈহাটী ? তোমার বাবার নাম কি ?” আমি বলিলাম, “e/রামকমল দ্যায়রত্ন ভট্টচ- মহাশয়।” তিনি অত্যন্ত আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন, “তুমি রামকমল ন্যায়রত্বের পুত্র, নন্দর ভাই, রাজকৃষ্ণ তোমাকে আমার নিকট আনিয়া আলাপ করাইয়া দিল! তোমার দাদার সঙ্গে আমার ভারি ভাব ছিল। সে আমার একবয়সী ছিল। তার মত তক্ষুবুদ্ধি লোক আর দেখা যায় না”—বলিয়া তিনি দাদার সম্বন্ধে নানা গল্প বলিতে লাগিলেন। দেখিলাম, দাদার উপর তাহার বেশ শ্রদ্ধা ছিল। এইরূপ কথা হইতেছে, এমন সময়ে রাজকৃষ্ণবাবু বলিলেন, “হরপ্রসাদ আপনার নিকট আসিয়াছে, উহার একটু কাজ আছে।” অমনি বঙ্কিমবাবু বেশ গম্ভীর হইয়া গেলেন, বলিলেন, “কি কাজ ?” রাজকৃষ্ণবাবু বলিলেন, *ও একটী রচনা লিখিয়া সংস্কৃত কলেজ হইতে একটা প্রাইজ পাইয়াছে, আপনাকে উহা বঙ্গদর্শনে ছাপাইয়া দিতে হইবে।” বঙ্কিমবাবু মুরুবিয়ান চালে বললেন, “বাঙ্গালা লেখা বড় কঠিন ব্যাপার, বিশেষ যারা সংস্কৃতওয়াল, তারা ত নিশ্চয়ই ‘নদনদী পৰ্ব্বত কনর’ লিথিয়া বসিবে। আমি বলিলাম, “আমার রচনার প্রথম পাতেই নদনদী পৰ্ব্বত কন্ধর আছে।” বলিয়াখুলিয়া দেখাইয়া দিলাম, এবং বলিলাম, "প্রথম চারিটি পাত ও সকলের শেষে আমি ঐ ভাবেই