পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র র্কাটালপাড়ায় > @@ লিথিয়াছি, পরীক্ষক কে জানিয়াই আমার ঐরাপ ভাবে লেখা, কিন্তু ভিতরে দেখিবেন অন্তরূপ * তখন বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “নন্দের ভাই বাঙ্গল লিথিয়াছে, রাজকৃষ্ণ সঙ্গে করিয়া আনিয়াছে, যাহাই হোক, আমাকে উহা ছাপাইতে হইবে।” আমি তিনটি পরিচ্ছেদ মাত্র লইয়৷ গিয়াছিলাম, এই কথা শুনিয়া, তাহাকে উহা দিয়া দিলাম । তাহার পর অনেক ষ্টিালারি পর আমি বাড়ী গেলাম। রাজকৃষ্ণবাবু সেখানে রহিয়া গেলেন । এই সময়ে কাটালপাড়া গ্রামে রামচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধ ছিলেন । লোকে তাহার কথাবার্তায় ও আচারব্যবহারে প্রীত হইয়া র্তাহার নাম রাখিয়াছিল “রামফক্কড়” । নৈহাট ও র্কাটালপাড়া গ্রামে সকল বাড়ীতেই তার অবারিতদ্বার ছিল। তিনি সব বাড়ীতেই যাইতেন, সকলের সঙ্গেই ফকুড়ি করিতেন ও ফকুড়িই র্তাহার জীবিকা ছিল। বঙ্কিমবাবুর নিকট অনেক আদর যত্ন পাইয়াও আমি মাসাবধি তাহার বাড়ী যাই নাই, যাইবার ভরসাও করি নাই। এক দিন রামফক্কড় আমায় আসিয়া বলিলেন,“তুমি বঙ্কিমকে কি দিয়া আসিয়াছ ?” আমি বলিলাম, “একটা লেখা।” তিনি বললেন, “তাই বটে। বঙ্কিম একটা প্রফ দেখিতেছিল, আর বলিতেছিল,“নন্দর ভাইটি বেশ বাঙ্গল লিখিতে শিখিয়াছে । তুমি সেখানে যাও না কেন ? বোধহয় গেলে সে খুশী হবে।” রাম বাড়য্যের কথায় ভরসা পাইয়া আমি আর এক দিন বঙ্কিমবাবুর কাছে গেলাম। তিনি বসিয়া কি লিখিতেছিলেন। আমায় দেখিয়াই বললেন, “তুমি এসেছ, বেশ হয়েছে! তুমি এমন বাঙ্গল লিখিতে শিখিলে কি করিয়া ? আমি বলিলাম, আমি