পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র র্কাটালপাড়ায় । (సి. যে উহা ছাড়েন নাই, তা নিশ্চয় ; কেন না, “বঙ্গদর্শনে”র গ্রাহকসংখ্যা দিন দিন বাড়িতেছিল, গ্রাহকেরাও “বঙ্গদর্শনে”র টাকা দিতে নারাজ ছিল না। তিনি ছাপাখানার কাজ বেশ বুঝতেন। তবে সম্পাদকতা ছাড়িলেন কেন, ঠিক বুঝা যায় না। বোধ হয়, তিনি ঝঞ্জাট ভালবাসিতেন না, এবং সঞ্জাববাবুর একটা উপায় হয়, সেটাও তাহার ইচ্ছা ছিল। সঞ্জাববাবু খুব রসিক লোক ছিলেন। একদিন একজন বড় সাহেবের সহিত রসিকতা করিতে গিয়া তাহার ডেপুটীগিরিটি যায়। * , তখন দিনকতক তিনি

  • সঞ্জাববাবু তখন প্রেবেশনারী ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট, । কয়েকটি পরীক্ষার পাস হইলেই তিনি পাক হইতে পারেন। ১৮৮৪ সালে ডিষ্ট্রক্ট টাউন অ্যাক্ট পাস হইল। ম্যাজিষ্ট্রেট চেয়ারম্যান এবং জজসাহেব ও অন্তান্ত ইংরাজ ও বাঙ্গালী হাকিমের কমিশনার হইলেন ; সঞ্জাববাবুও এক জন কমিশনার হইলেন। এক দিন কমিটীতে কথা উঠিল—রাস্তার নাম দিতে হইবে, টিনের উপর নাম লিথিয়। রাস্তায় রাস্তায় দিতে হইবে ; সঙ্কল্প হইল ৩০০ টাকা মঞ্জুর করিতে হইবে। জঙ্গ সাহেব বলিলেন, "আর, ৭৫ টাকা চাই, কারণ, বাঙ্গল নামগুলা কে বুঝিবে ? ওগুলা ইংরাজীতে তর্জমা করিয়া দিতে হইবে । বৌমার গলি বলিলে কেহই চিনিবে না Daughter-in-law's Lane বলিতে হইবে।” জজসাহেবের কথায় কেহই আস্থ। করিতেছে না, অথচ তিনি বার বার সেই কথাই বলিতেছেন। তখন সঞ্জীববাৰু বলিয়া উঠিলেন, "A টাকায় হইবে না। আমি প্রস্তাব করি, আরও ৩-৭ টাকা দেওয়া দরকার।* জজসাহেব উৎফুল্প হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, "কেন, কেন ?" সঞ্জীবধাৰু বলিলেন, “আদালতের সম্পর্কে যত লোক আছে, সকলের নামই ইংরাজীতে তর্জমা করিতে হইবে। মনে করুন, কালীপদ মিত্র বলিয়া একজন হাiঙ্কম আছেন। কালীপদ মিত্র বলিলে কে বুঝিবে ? উহাকে Black-footed friend বলিয়া তর্জমা করিতে হইবে।” সকলে হে হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। জজ সাহেবের মুখ লাল হইয়া উঠিল। তিনি টুপী লইয়। কমিটী হইতে উঠিয়৷ গেলেন। ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব বলিলেন, “সঞ্জীৰ ভাগ কাজ করিলে না। বাড়ী শিল্পী