পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র কাটালপাড়ায় '&') গাড়ীতে এইখানি পড়িও ছাপাখানা হইতে এইখন প্রথম বাহির বাহির হইল।” আমি অনেক বৎসর ধরিয়া বিশেষ যত্ন করিয়া রাখিয়াছিলাম। এখন কিন্তু বঙ্কিমবাবুর কোন গ্ৰন্থই আমার বাড়ীতে নাই। বৌঠাকুরাণীরা অনেকগুলি সখীদের দিয়াছেন ; এখন পুত্রেরা বড় হইয়া কতকগুলি আপন আপন বন্ধুদের দিয়াছেন। আমার এত যত্নের জিনিস একখানিও বাড়ীতে নাই ! লক্ষে হইতে ফিরিয়া আমি কাটালপাড়ায় গিয়া দেখি, বঙ্কিমবাবু সেখানে নাই। শুনিলাম, তিনি চুচুড়ায় বাসা করিয়াছেন। শিবের মন্দিরের পাশে সে ঘরগুলিতে চাবী বন্ধ। বাগানটি গতপ্রায় । সেই দিনই বৈকালেচুচুড়ায় গেলাম; দেখিলাম চুচুড়ায় যোড়াঘাটের উপর দুইটি বাড়ী ভাড়া করিয়াছেন ; একটিতে র্তাহার অন্দরমহল, আর একটিতে তিনি নিজে বসেন। যেটিতে তিনি বসেন, সেটি একতাল।। বাড়ীটির একটি গেট আছে। যে ঘরটিতে তিনি বসেন, তাহা একটি বড় হল, গঙ্গার দিকে চারিটি জানালা । সে ঘরের পুর্বের দেওয়ালটি গুটিকতক বড় বড় মোটা গোল থামের উপর, বর্ষাকালে তার নীচেও জল আসে। বঙ্কিমবাবু যেখানে বসিয়াছিলেন, সেদিন তার নীচে খুব জল ছিল। এক বৎসরের পর হঠাৎ আমাকে দেখিয়া তিনি খুলী হইলেন। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি ত চুচুড়ায় বাসা করিয়াছেন, ইহার ভিতরে কি কিছু কৃষ্ণকান্তী’ আছে?” তিনি বলিলেন, “তুমি ঠিক বুঝিয়াছ। আমি বড় খুী হইলাম, তোমার কাছে আমার বেশী কৈফিয়ৎ দিতে হইল না।” আমি জিজ্ঞাসা 33