পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র - ১৬৭ হেমবাবু আসিতেন, মফস্বল হইতে অনেকে বঙ্কিমচন্দ্রকে দেখিতে আসিতেন—ৰ্তাহাদের মধ্যে কালীপ্রসন্ন ঘোষ মহাশয় এক জন । কেহ দেখিতে আসিলে, তিনি তাহাকে বিশেষরূপ আপ্যায়িত করিতে চেষ্টা করিতেন। তাহাতে অনেকেই তাহার উপর আকৃষ্ট হইয়া পড়িত। - বঙ্কিমবাবুর নিকট কেহ আসিলে, সাহিত্য ভিন্ন অন্য কোন কথাবার্তা বড় একটা হইত না। লেখাপড়া-জান লোকের তিনি খুব সম্মান করিতেন, এবং তাহাকে আত্মীয় করিয়া লইবার চেষ্ট করিতেন। তিনি বেশ স্বপুরুষ ছিলেন। তাহার চক্ষুতে এক অসাধারণ দীপ্তি ছিল। নাকটি নপক্ষীর মত না হইলেও বেশ দীর্ঘ ও স্বকৃত ছিল। গাল ইটভারি ভারি ছিল; কিন্তু তাহাতে সৌন্দর্য্যের কোন হানি হইত না। চেহারাটা মামুষের একটা আকর্ষণ বটে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। বঙ্কিমবাবু নিজেই বলিয়াছেন, সুন্দর মুখের সর্বত্র জয়। সে জয় যে র্তাহার হয় নাই, এ কথা কেহ বলিতে পরিবে না। কিন্তু সে জয় ত যত দিন বাচিয়া থাকা যায়, যত দিন সে সৌন্দর্য লোকে দেখিতে পায়। জয়ের সে, কারণ, মরিলেই ফুরাইয়া যায়। বঙ্কিমচন্দ্রের জয়লাভের কারণ আরও আছে, সে অন্তরূপ। তিনি সুন্দর জিনিস বাছিয়া লইতে পারিতেন, তাহাদিগকে সাজাইয়া আরও মুম্বর করিতেন। যেখানে লোকে সৌন্দৰ্য্য দেখে না, তাহার মধ্যেও তিনি সৌন্দর্ঘ্য দেখিতে ও দেখাইতে পারিতেন। অমুলারকে তিনি একেবারে বর্জন করিতেন। এই মনে কর, কপালকুণ্ডলীয় ঐ যে