পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yఉt বঙ্কিম-প্রসঙ্গ বাহির হইতৃেছে, কিন্তু মাসে মাসে বাহির হয় না ; অনেক বাকি পড়িতে লাগিল। আবার এক বৎসর ছাড়িয়া দেওয়া হইল। তাহার পর-বৎসর হইতে আবার “বঙ্গদর্শন” বাহির হইল। বঙ্কিম বাবু চুচুড়া ছাড়িলেন ; বৌ-বাজারে ‘বিড়ালের বিয়ের বাড়ী ভাড়া লইয়া মাস দুই রহিলেন। তাহার দৌহিত্র দিব্যেন্দুর অসুখই তাহার চুচুড়া ছাড়ার প্রধান কারণ । এই বাড়ীতে ডক্টর চন্দ্রার চিকিৎসায় তাহার দৌহিত্রটি আরাম হইল। ডাক্তার চন্দ্রা কেবল বলিয়া গেলেন, বালকটির যে পরিমাণ আহারের দরকার, তাহা সে পায় না। তিনি তাহার আহারের ব্যবস্থা করিয়া দিয়া গেলেন, ঔষধপত্র বড় একটা কিছু দিলেন না। বঙ্কিমচন্দ্র চন্দ্রার চিকিৎসার ও চন্দ্রার স্বভাবের বড়ই মুখ্যাতি করিতেন। এখান হইতে তিনি ফকিরর্চাদ মিত্রের লেনে যান। তথা হইতে ৯২ নং বৌ-বাজার ষ্ট্রীটে আসেন। এই সময় “বঙ্গদর্শন” প্রেসও কাটালপাড়া হইতে কলিকাতায় উঠিয়া আসে। ৯২ নং বৌবাজার হইতে তিনি ভবানীচরণ দত্তের লেনে যান ; সেখানে থাকিতে থাকিতেই প্রতাপ চাটুর্যের লেনে এক বাড়ী খরিদ করির কলিকাতায়কায়েম-মোকাম হন । এই দীর্ঘকাল আমি সৰ্ব্বদাই তাহার কাছে যাইতাম ; বৈকালে অথবা সন্ধ্যার পর তাহার কাছে উপস্থিত হইতাম, এবং রাত্রি সাড়ে ময়ট পর্যাপ্ত থাকিয়া বাড়ী চলিয়া আসিতাম। বাৰু রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় যত দিন জীবিত ছিলেন, প্রায়ই ঐখানে জাসিতেন, চন্দ্রনাথ বস্থ আসিতেন, সব জজ বলরাম মল্লিক