পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র אטא כי যেরূপ অন্ত হইল, তাহাতেও ঐ কথা দৃঢ়তররূপে প্রতিপন্ন করিতেছে।” আর এক জায়গায় তিনি বলিতেছেন – “বঙ্কিমবাবুর লোক সব সমাজের লোক-শিক্ষিত বঙ্গীয় যুবক, শিক্ষিত যুবকের জীবন অনন্তবিবাদসঙ্কুল। তিনি দুই প্রকার শিক্ষা পান। এক প্রকার বাড়ীতে, এক প্রকার স্কুলে। উভয় প্রকার শিক্ষা সময়ে সময়ে বিলক্ষণ বিরোধী। এই জন্য শিক্ষিত যুবকের চরিত্রে সময়ে সময়ে বিলক্ষণ অসামঞ্জস্ত দেখিতে পাওয়া যায়। বঙ্কিমবাবুর পাত্রগুলিতেও এই বিরোধিভাব কতক কতক প্রকটত আছে, কিন্তু সম্পূর্ণ নহে ; যেখানে আছে, সেখানে অতি মনোহর। বঙ্কিমবাবুর মানুষগুলি দেশী বাঙ্গালী নিরীহ ভাল মানুষ। বাঙ্গালীর{ যে স্বভাব ভালবাসে, তাহারা সকলেই সেই স্বভাবের লোক-বুদ্ধিমান, চতুর, দয়ালু, সামাজিক ও গুণগ্রাহী। তাহাদের হৃদয়ের ভাব গভীর। ঐক্কপ লোকের হৃদয়ের সূক্ষানুস্থঙ্ক সন্ধান অত্যন্ত প্রীতিপ্রদ। তাহ হইতে আমাদের অনেক জ্ঞানলাভ হয়। বঙ্কিমবাবু ইহাদের সেই ভাবেই দেখাইয়াছেন।” বঙ্কিমবাবুর নভেলগুলি হইতে আমরা এখনকার সমাজে কোথায় কি জিনিস সুন্দর আছে, তাহ দেখিতে ও বুঝিতে শিথিয়াছি। হীরার ঘরে আলপোনাট হ’তে আরম্ভ করিয়া নগেন্দ্রনাথের বৈঠকখানার পেটিং পৰ্য্যন্তু সব জায়গায়ই র্তাহার চক্ষু গিয়াছিল, এবং আমাদেরও চক্ষু খুলিয়া দিয়াছেন। আচ্ছা, সুন্দর—সুন্দর—সব ইন্দর। বঙ্কিমবাৰু ঘৰ সুন্দর দেখিয়াছেন, আমরা সব সুন্দর