পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԵՀ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ প্রতাপ খোনে বলিতেছেন যে, “তোমার ৰিষের ভয়ে আমি বেদগ্রাম ত্যাগ করিয়াছিলাম।” সেই স্থল উল্লেখ করিয়া লোকনাথ বাবু বলিয়াছিলেন যে, প্রতাপের অসাধারণ বলবান চরিত্রে সেরূপ ভাব কেন ? বঙ্কিমবাবু দেখায়াছিলেন যে, প্রতাপ বস্তুতঃ অসাধারণ হইলেও নিজের প্রতি র্তাহার বিশ্বাস তেমন দৃঢ় ছিল না । সেই র্তাহার মহত্ত্ব, এবং তাহাই প্রকৃতিসঙ্গত। সঞ্জীব বাবুর সঙ্গে একদিন আমার গ্রীকৃ লাওকোয়নের কথা হইতেছিল। তিনি বুঝাইতেছিলেন, গ্ৰীক শিল্পী সেই প্রস্তর মূৰ্ত্তিতে কি সুন্দর কাব্য ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। বলদৃপ্ত লাওকোয়েন সর্পবেষ্টিত এবং আসন্নমৃত্যু হইয়াও বামে প্রাণাপেক্ষ প্রিয়তর পুত্র দুটিকে যত্নে রক্ষা করিতেছেন, সেই অবস্থায় দৃঢ় ওষ্ঠে অধর চাপিয়া আকাশের দিকে চাহিয়া তিনি তাহার দুর্ভাগ্য বিধাতা দেবতাদের জানাইতেছেন, অদৃষ্টলিপি অখণ্ডনীয় জানিয়াও তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সঞ্জীব বাবু বলিলেন, এইখানে শারীরিক বলে ধৰ্ম্মবল মিশিয়াছে, এবং মাঝে একদিন বঙ্কিমবাবু কুমারসম্ভব হইতে হিমালয়-বর্ণনা পড়িতে পড়িতে প্রতিশ্লোকে তাহাই দেখাইয়াছিলেন । তিনি দেখাইয়াছিলেন, কোনও কবিতাতেই কেবল প্রকৃতি বর্ণিত হয় নাই-সৰ্ব্বত্র অন্তঃসৌন্দৰ্য্য নিহিত আছে। গুনিলাম, সে দিন প্রায় রাত্রি বারোটা পৰ্য্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে কাব্যালোচনা করিয়াছিলেন। আমার সমক্ষে সেই রাত্রের কথা তুলিয়া বঙ্কিমবাবুর এক জন বন্ধু বলিলেন, “তোমার সেদিনকার কথা মত ৰোধ হয় – কিছু লিখিবে,কিন্তু তাছার ভাষা তত তাল নহে " আমি বঙ্কিমবাবুক্ষে