পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবাবুর প্রসঙ্গ ᎼᎭᎼ বঙ্কিমবাবুকে বলিলেন, “এমন তাল জিনিসটাকে আধ লুংস্কৃত আধ বাঙ্গালায় লিখিয়া মাটী করা হইয়াছে। এ যেন গোবিনা অধিকারীর গানের মত। লোকের ভাল লাগে না। বঙ্কিম বাবু ঈষৎ কুপিতস্বরে বলিলেন—“আচ্ছ ভাই, ভাল না লাগে, পড়ে না । আমার ভাল লেগেছে, তাই ও রকম লিখেছি। লোকের ভাল লাগবে কি না ভেবে আমি লিখব !” কিছু দিন আমি রীতিমত ডায়েরী রাখিতাম। ১৮৮২ খৃষ্টাব্দের জুলাই মাস হইতে প্রায় দুই বৎসর সে ব্রত পালন করিয়াছিলাম । এই কালের মধ্যে বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে অনেকবার আমার দেখা শুনা হইয়াছিল । ইহার ফলে র্তাহার সহিত আমার ঘনিষ্ঠ যোগ সঞ্চার হয়। বন্ধুত্ব বলিতে পারি না । গুরু শিষ্যের যে সম্বন্ধ, এক দিকে গাঢ় স্নেহ এবং প্রীতি, অন্যত্র গভীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা—প্রেমের সেই সম্বন্ধকেই আমি যোগ বলিয়া অভিহিত করিয়াছি। অতএব বিস্তর কথা আমি আদে স্মৃতির উপর নির্ভর না করিয়া বলিতে পারিব। রাজসাহী কলেজের শিক্ষক বাৰু লোকনাথ চক্রবর্তী “আৰ্যদর্শন" পত্রে “শৈবলিনী” চরিত্রের সমালোচনা করেন। সে সম্বন্ধে বঙ্কিম বাবুর সঙ্গে তাহার চিঠিপত্র চলিয়াছিল। লোকনাথ বাবু জানিতে চাহিয়াছিলেন যে, দুর্গেশনন্দিনীর অভিনব সংস্করণে দিগগজকে নূতন রূপ দেওয়া হইল কেন ? বঙ্কিম বাৰু উত্তর দেন যে, এক শ্রেণীর অনুকরণপ্রিয় লেখক বিদ্যাদিগগজ চরিত্রের নামে বঙ্গসাহিত্যে অশ্লীলতা আনিতেছে। তাহাদের মুখ বন্ধ করিবার জন্ত তাহাকে সে চরিত্রের কোনও কোনও স্থল নূতন করিতে হইয়াছে।