পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ - 8 של কোন সন্ন্যাসীর আশ্চৰ্য্য কীৰ্ত্তিকলাপ কখনও দেখেছেন কি না ?” একটু ভাবিয়া উত্তর করিলেন, “না।” তার পর সিনেট সাহেবের পুস্তকের কথা উঠিল। বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “সিনেট দেখাইয়াছেন বটে যে, মানুষের শক্তি কত বিকশিত হইতে পারে। Theosophy এদেশে আসিবার পূৰ্ব্বে আমি তা লিখেছি।” পৌষ সংখ্যা “বঙ্গদর্শনে” “দেবী চৌধুরাণী" কার লেখা জিজ্ঞাসা করিলে বঙ্কিমবাবু বলিলেন, ś*t* “Mysteirous author-ship” i alfi <fäźta, &fa gari বলিয়াই আমার বোধ হয়েছে। উত্তর—“অনেকে তা বলেন না ।" একদিন বঙ্কিম বাবুর বাড়ী গিয়া দেখি, তাহার নিকট হেমবাবু, চন্দ্রনাথ বাবু এবং সঞ্জীব বাবু বসিয়া আছেন। আমি আসিবার আগে ইহাদের ভারি একটা তর্ক চলিতেছিল। তর্কের বিষয়—Universityতে মেয়েদের বি, এ, উপাধি লাভ উপলক্ষে হেমবাবুর অভিনন্দন-কবিতাট। হেমবাবু ইংরেজীতে বলিতেছিলেন, “তোমাদের কোনও উৎসাহ নাই, জীবন নাই।” সঞ্জীব বাৰু বলিলেন, “ইহাতে বুঝা যাইতেছে, তুমি সকলের ছোট।” তখন হেমবাবু সঞ্জীব বাবুর বয়স জিজ্ঞাসা করিলেন, দুজনে একটু রহস্ত চলিল। পরে হেমবাবু বঙ্কিমবাবুর দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “Sentiment governs the world, not logic.” afor বাবু বলিলেন, “তা ত বটেই ” পরে অন্ত কথা আসিয়া পড়িল । ২৬শে চৈত্র সন্ধ্যার পর সাক্ষাৎকালে বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “রবীন্দ্র কাল এসেছিলেন, তার কাছে তোমার পরিবারের সংবাদ পাই। নূতন বাসায় বাতাসের সুবিধা কেমন ? আমি নিজে গিয়৷