পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবাবুর প্রসঙ্গ >b Q দেখিয়া আসিব । ছাদে রোগিণীকে শয়ন করানর ব্যবস্থা করা যায় কি না? আমার মধ্যম কহাটী সেবার হিষ্টিরিয়াতে দুই মাস কষ্ট পায়। যে ঘরে তাকে রাখা হয়, দিন রাত্রি তা খোলা থাকৃত, এত বাতাস যে, সহজ লোকের সেখানে থাকা অসম্ভব। মাঠের ভিতর ঘর। যা তা খাওয়াইতাম দু'মাসেই সারিয়া গেল।” সন্ত্ৰীবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “অলকটু সাহেব আদিয়া কি করিল ?” আমি তাহার ও মিসেস গর্ডনের কার্য বর্ণনা করিলাম। বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “বাবু নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় mesmerize করিতে জানেন । সে দিন তিনি (বঙ্কিম বাবু) ডাক্তার কোনও পুস্তকে পড়িতেছিলেন,ফোড়ার উপর mesmerize করার মত অঙ্গুলি চালনা করিলে সোয়াস্তি বোধ হয়, তবে আঙ্গুলে কপূর মাখাইতে হয়।” সঞ্জীব বাবু বললেন, তার নিজেরও কিছু কিছু mesmeric power আছে ; তিনি উহার দ্বারা নিজের স্ত্রীর ফোড় আরোগ্য করিয়াছিলেন, কিন্তু ফোড় স্পর্শ করিতে হয় নাই। বঙ্কিমবাবু বলিলেন, "শ্ৰীশবাবু, সকলই ত দেখিলে। আমার একটা কথা শুনে কাজ করে দেখ দেখি। কাল প্রাতে স্নান করে ফল মূল খাইও, আর কিছু খেও না । সমস্ত দিন একমনে চিন্তা করে, কিসে তোমার পরিবারের পীড়া ভাল হবে। মন ও শরীর পবিত্র রেখে, মনে পাপচিন্তামাত্র স্পর্শ না হয়। সন্ধ্যার সময় একবার তীর শয্যাপার্থে বসে র্তাকে স্পর্শ করিও । ইহাতে বেশ বিশ্বাস করে কাজ করে, নছিলে করে না” আমি সন্মত হইয়া আসিলাম। ২রা বৈশাখ সন্ধ্যার প্রাক্কালে বঙ্কিমবাবুর কাছে গেলাম।