পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমৰাবুর প্রসঙ্গ ›ሆፃ কাতায় আসেন। আমি তখন এখানে সপরিবারে থাকি। মহেন্দ্র বাবু তখন এলোপেথি হোমিওপেথি দুই মতেই চিকিৎসা করেন, এত নাম হয় নাই। তিনি ও আর আর ডাক্তারের বিশেষ যত্নের সহিত চিকিৎসা করেন, ঘরে বাতাস মাত্র আসিতে দিতেন না। একটু সাগু মাত্র থাইতে দিতেন, তাও হজম হইত না। প্রাতে আসিয়া মল পরীক্ষা করিয়া প্রত্যহ মহেন্দ্র বাবু সন্দেহ করিতেন যে, সাগুর চেয়ে আরও কিছু বেশী খেতে দেওয়া হয়েছিল। কিছুতে কিছু হলো না—মেয়েট বঁাচে না । নিজে গিয়া আমি তাকে বাড়ী রাখিয়া আসি—রেলের কষ্ট তার সহে কি না, মহেন্দ্র বাৰু সন্দেহ করিয়াছিলেন । তার পর বাড়ী গেলে এক মাগী কৰ্ত্তাভজা আসিয়া মেয়েটকে দেখে বলিয়াছিল যে, সেট কেন তাকে দেওয়া হোক্‌’ না। র্তারা ত তার জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। সে যদি কোন উপায়ে মেয়েটকে বাচাতে পারে, তবে মেয়ে তাহারই হবে। শেষে মেয়েটার চিকিৎসা করিতে সম্মত হয়ে বলে যে, সে যা বলিবে, তাহাই করিতে হবে। প্রথমে মেয়েটর গলায় একটা কিসের পুটুলী বাধিয়া দিয়া তাকে পুকুরে স্নান করাইতে বলে। তাতেও সন্তুষ্ট নয়। বর্ষাকাল, বৃষ্টি পড়িতেছিল, আবার সেই জলে মেয়েটকে ছাড়িয়া দিল। পরদিন থেকে উপকার বোধ হতে লাগল। মেয়েট ক্রমে বেঁচে উঠল। এখন সে বেঁচে আছে। বয়স বিশ বৎসর।” আমি বলিলাম, এ সকল ব্যাপারে আমার বড় বিশ্বাস ছিল না, কিন্তু তার “রজনী"র সন্ন্যাসী চরিত্র এবং লর্ড লিটনের একখানি নভেল পড়িয়া বোধ হইয়াছে যে, জহা অসম্ভব নহে। বঙ্কিম বাৰু হাসিলেন,