পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ وهارا ولا তখন তিনি বৈঠকখানার বাহিরে অনাবৃতশরীরে ভ্রাতুপুত্র বিপিন বাবু এবং একটা দৌহিত্রের সঙ্গে দাড়াইয়া ছিলেন। বঙ্কিমবাবুর রং যে তত ফরসা, মুখ দেখিলে তাহা বুঝা যায় না। আমার পরিবারের পীড়া উত্তরোত্তর বাড়িতেছে শুনিয়া বঙ্কিমবাবু উদ্বেগ প্রকাশ করিলেন। বলিলেন, “সোমবারে মেজদাদা (সঞ্জাববাবু) ফিরিলে একত্রে দেখিয়া আসিব।” সঞ্জীব বাবু মিছমারাইজ, করিতে জানেন। বঙ্কিমবাবু নিজের তৃতীয়া কন্যার পীড়ার গল্প করিলেন। পনের দিন তার দাত খোলে নাই। ডাক্তার কেলি নাসিকা দ্বারা আহার করাইতেন । র্তাহার শ্বশুরালয় কলিকাতা হইতে হাবড়ার বাসায় লইয়া যাওয়া ভারি কষ্টকর হইয়াছিল। বঙ্কিমবাবু ভৌতিক চিকিৎসা করাইয়াছিলেন, কিন্তু তাহারা হিষ্টিরিয়া বলিয়াছিল। বলিলেন, “তাহাদের ঝাড়া ঝোড়াও mesmerism, GzPREI mesmerized water, GF RTFT E^fftz তোমার স্ত্রীর চিকিৎসা করাও । আমার কস্তাকেও mesmerize করার উদ্যোগ হইয়াছিল । যদি কাহাকেও না বল, একট পরামর্শ দিই। তারকেশ্বরের মানত করিও, তাহাতেও উপকার হয়। আর কার কথা বলিব ? জজ ব্রজেন্দ্রলাল শীল ঐ রকমে সারিয়া গিয়াছেন। অনেকেই Sceptic, তাই এসব কথা সকলকে বলি না। কিন্তু অনেক সত্য এতে আছে। তোমার বিশ্বাসের জন্য আরও ছএকটা গল্প বলি। আমার জ্যেষ্ঠ ভাই খামাচরণ বাবুর কন্যাটার বয়স যখন ছয় বৎসর, তখন তার শ্বাস-কাস ও জর হয়। কিছুতে জল হয় না দেখিয় খামাচরণ বাবুর স্ত্রী মেয়েটকে লইয়া কলি