পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ ०२ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ প্রচারে) ও যাহা লিখিব, তাহাতে এই দুইটা তত্ত্ব প্রমাণিত ২ইবে – ১। শ্ৰীকৃষ্ণ ইচ্ছাক্রমে কদাপি যুদ্ধে প্রবৃত্ত নহেন। ২। ধৰ্ম্মযুদ্ধ আছে। ধৰ্ম্মার্থেই মনুষ্যকে অনেক সময়ে যুদ্ধে os os on (* William the Silent) ow অপ্রবৃত্তি অধৰ্ম্ম । সে সকল স্থানে ভিন্ন শ্ৰীকৃষ্ণ যুদ্ধে কখন প্রবৃত্ত নহেন। ৩। অন্যে যাহাতে ধৰ্ম্মযুদ্ধ ভিন্ন কোন যুদ্ধে কথন প্রবৃত্ত না হয়, এ চেষ্টা তিনি সাধ্যানুসারে করিয়াছিলেন। মমুষ্যে ইহার বেশী পারে না । কৃষ্ণচরিত্র মনুষ্যচরিত্র। ঈশ্বর লোকহিতার্থে মনুষ্য-চরিত্র গ্রহণ করিয়াছিলেন। কৃষ্ণনগরে কবে যাইবে ? ইতি তাং ২৫শে আশ্বিন। ( স্বাক্ষর) ঐবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।” এইখানে একটা কথা মনে পড়িতেছে। “পদরদ্ধাবলী"র ভূমিকা লেখা শেষ হইলে একদিন প্রাতে বঙ্কিম বাবুকে পড়িয়া শুনাইতেছিলাম। তাহার শেষ দিকে এক স্থানে আছে :“যশোদার সেই গোপালময় প্রাণ, সেই অতুল বাৎসল্য ভাব, ব্ৰজ রাখালের সেই ঢলঢল বালমূলভ সখ্য, যমুনার কুলে কুলে ব্রজের বনে বলে মধুর সে গোচারণ, লে মোহ, যার বলে— 'দুগ্ধ স্ৰবি পড়ে বাটে, প্রেমের তরঙ্গ উঠে, স্নেহে গাভী খাম অঙ্গ চটে।