পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ ० 8 . বঙ্কিম-প্রসঙ্গ তামাসার মাত্র কিছু বেশী বেশী, বঙ্কিমবাবুর ততটা নহে, তিনি বরঞ্চ বার বার বলিতে লাগিলেন—“ছেলেমামুষের সঙ্গে ওসব কেন? রাখালের বয়সী বা কিছু বড় বই ত নয়।” কিন্তু সঞ্জীবচন্দ্র তবু ছাড়েন না । বঙ্কিমবাবু হাসিয়া বলিলেন—“বিধাতা কেন যে আমায় দুজনার ছোট করেছিলেন, জানিনে ৷” দামোদরবাবু উঠিয়া গেলে বঙ্কিমবাবু আমায় সুধাইলেন, “তুমি পলাশীতে কি কি পেয়েছিলে, আমায় লিখেছিলে ?” আমি যুদ্ধক্ষেত্র ও তাহার পার্শ্ববৰ্ত্তী স্থান হইতে গোলা ও গুলি কিছু কিছু সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছিলাম—লাক্ষাবাগের অবশিষ্ট একমাত্র আম গাছের ছোট একখণ্ড কাষ্ঠও পাইয়াছিলাম। তাহার পরিচয় দিয়া বলিলাম, “দেখবেন ?” বঙ্কিমবাবু—“দেখে আর করব কি ? কেবল কাদা বই ত নয়।” কথায় কথায় আমি বলিলাম, “কীৰ্ত্তন সম্বন্ধে এবার কতক অনুসন্ধান করে এসেছি।” বঙ্কিমবাবু— “ও সবে কিছু হবে না। এখন ভবিষ্যতের একটা ভিত্তি করতে হবে।” আমি—“সে আপনি করুন, আমাদের সাধ্য কি ? বঙ্কিমবাবু—“সেই চেষ্টাই ত করছি। কেমন, শ্ৰীকৃষ্ণের উপর ভক্তি কিছু হল ?” আমি স্বীকার করিলাম, এবং বৈষ্ণব কবিদের ঐকৃষ্ণ যে কাব্যের সৃষ্টি বলিয়া আমার ধারণা হইতেছিল, তাহা বলিলাম। তিনি এ কথার অনুমোদন করিয়া বলিলেন, “গীতায় এক জায়গায় মাত্র দেখি রাসাধ্যায়ে গোপীরমণ। রাসের অর্থ আমি এই রকম বুঝি, তখন গ্ৰীজাতির বেদাদিতে অধিকার ছিল না, অথচ তাছাদের শিক্ষা চাই, শ্ৰীকৃষ্ণ স্থির করিলেন, কলা বিষ্ঠার দ্বারা তাহাদিগক্ষে ।