পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবাবুর প্রসঙ্গ २ ० ¢ শিক্ষা দিবেন। ইহার বেশ আর কিছু নয়।” ঠিক মনে পড়িতেছে না, কিন্তু বোধ হয় কৃষ্ণচরিত্রের পরবর্তী সংস্করণে এ সম্বন্ধে বঙ্কিম বাবুর মত অনেকটা বদলাইয়া গিয়াছিল। ইহার কিছুদিন পূৰ্ব্বে স্বসম্পৰ্কীয় স্বৰ্গীয় জগদীশনাথ রায় মহাশয়ের সহিত দেখা করিতে গিয়াছিলাম। কথাপ্রসঙ্গে তিনি বলিয়াছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে তার এরূপ সৌহার্দ্য যে, বঙ্কিমের মাতৃবিয়োগের পর তিনিও তাহাদের বাড়ী গিয়া , কাচা পরিয়াছিলেন। বঙ্কিমবাবু আমায় একবার বলিয়াছিলেন, জগদীশ বাবু তার চেয়ে অন্ততঃ পনর বছরের বড়। অথচ সমবয়স্কের মত র্তাহাদের বন্ধুতা ছিল। সাহিত্যাকুরাগী পাঠককে বলিয়া দিতে হইবে না, বঙ্কিমবাবু ইহারই নামে, “বিষবৃক্ষ’ উৎসর্গ করিয়াছিলেন। ১৮৯১ অব্দের শরৎকালে সীতামাঢ়ি হইতে কাথি বদলী হইবার সময় বঙ্কিম বাবুকে তাহার কলিকাতার বাড়ীতে দেখিতে যাই। অল্পদিন মাত্র তখন তিনি পেন্সেন লইয়াছিলেন, শরীর ভাল ছিল না। পূর্ণবাবু কাছে বসিয়াছিলেন। আমি বলিলাম,—“আগে বলতেন পেন্সন লইয়া খুব লিখিব—এখন ?” মৃদ্ধ হাসিয়া তিনি উত্তর করিলেন—“এখন গঙ্গার চড়ায় হরিনাম লিখিতে পারিলেই আমার হয়। তোমরা লেখ । বলিলেন, “রমেশকে (শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্র দত্ত, তখন মেদিনীপুরের ম্যাজিষ্ট্রেট) বলেছি, দিনকতক রঘুনাথপুরে বাগলায় বাস করব, সমুদ্রের হাওয়ায় শরীর সাৰ্বতে পারে। কিন্তু সেখানে থাবার জলের কষ্ট। বেশ হল, কাথি হতে তুমি ভাল ভাল