পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবারর প্রসঙ্গ 있o ‘. কলিকাতায় তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। পিতার হেড মুহুরীর ও র্তাহার সন্তান সন্ততির কথা বারংবার জিজ্ঞাসা করিলেন। আমি বলিলাম, সাধারণতঃ মাজনমুঠার সকল লোকেই এখনও তাহাদের মঙ্গল কামনা করে। তাহাতে সলজে ও স্মিতমুখে বঙ্কিম বাবু বলিলেন, “কর্তাদের দয়ার জন্ত লোকে ভালবাসিত। আমরা বিচার করিয়া কড়া শাস্তি দিতাম, তাতে লোকে কৰ্ত্তার সঙ্গে তুলনা করে’ আমাদের নিন্দা করিত।” মনে পড়িতেছে, নবীনবাবু একবার পুর অঞ্চল হইতে ফিরিয়া অসিয়া বঙ্কিমবাবুকে বলিতেছিলেন যে, তিনি গোটাকতক উড়িয়া কবিতা লিখিয়াছেন, পড়িয়া শুনাইলে তিনি বুঝিতে পারিবেন কি না? বঙ্কিমবাবু উত্তর করিলেন “উড়ে ভাষা আমি বুঝিতে পারিব না ? ছেলেবেলায় দশ বার বছর পর্যন্ত উড়ের হাতে লালিত পালিত, আমি আর উড়ে বুঝতে পারব না?” মেদিনীপুরের, বিশেষতঃ কাথির উপর বাস্তবিক বঙ্কিমচন্দ্রের আন্তরিক টান ছিল। কিন্তু সাধারণ উড়িষ্যাবাসীদের প্রতি তার তেমন আস্থা ছিল না। আমার কাথি যাওয়ার সময় যাহা বলিয়াছিলেন, তাহার মৰ্ম্মার্থ এইরূপ—“সাষ্টাঙ্গ প্রণাম দেখিয়া ভুলিও না ।" আমার কৃষ্ণনগর যাওয়ার কিছুদিন আগে রাখালের হঠাৎ, কঠিন পীড়া হয়। বঙ্কিমবাবু নিজে চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছিলেন, এবং এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক উভয় পদ্ধতি মতেই চিকিৎসা করিতে পারিতেন। স্বয়ং সচরাচর ব্যবস্থাপত্র পাঠাইয়া ঔষধ আনাইয়া লইতেন। সে যাহা হউক, অন্তান্ত চিকিৎসায় কোনও