পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ ०br বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ফল না হওয়ায় উৎকণ্ঠিত হইয়া একদিন রাত্রে আমায় চিঠি লিখিলেন, যেন প্রাতে আমার আত্মীয় স্বৰ্গীয় সুবিখ্যাত কবিরাজ ব্রজেন্দ্রকুমার সেন খুড়া মহাশয়কে লইয়া যাই। তিনি হোমিও প্যাথির মত ছোট শিশিতে ঔষধ রাখতেন। দেখিয়া বঙ্কিমবাবু ঔৎসুক্যের সহিত বলিলেন—“দেখি, দেখি, এ যে ঠিক হোমিও প্যাথির মত।” আমি বলিলাম, “উনি দুই তিনটা ঔষধের গুড়া মিশাইয়া চিকিৎসা করেন—তাহাতে বেশ উপকার হয়। এটা বেশ উন্নত পদ্ধতি।” বঙ্কিমবাবু গম্ভীর হইয়া বলিলেন, “হোমিওপ্যাথিমতে প্রত্যেক ঔষধ পৃথকৃ. ব্যবহার করা উচিত ; তাহাতে উপকার হইতেছে। সে পরীক্ষার পর ইহাকে উন্নতি বলিতে পারি না।” যাহা হউক, প্রশংসিত কবিরাজ মহাশয়ের চিকিৎসার উপর তার যথেষ্ট ভক্তি ছিল। একবার সুলেখিকা শ্ৰীমতী সরলা দেবীর সংস্কৃত নাটক সমলোচনার কথা তুলিয়া বঙ্কিম বাবু আমার অমুজ শ্ৰীমান শৈলেশচন্দ্রের সম্মুখে আমায় বলিয়াছিলেন, “লেখিকার বয়স বিবেচনা করিলে বলিতে হয়, ও বয়সে আমাদেরও অমন লেখা সহজ হইত না, তাহার সমালোচনা পড়িয়া নাটকগুলি আবার নূতন করিয়া পড়িতেছিপ" শৈলেশ বলিলেন, “আপনি আর ত কিছু লিখিতেছেন না ? বন্ধি বাবুর বাটার তখন সংস্কার হইতেছিল, হাসিয়া বাড়ী দেখাইয়া বলিলেন “এখন আমারও লেখা ঐ রকম, কেবল পুরাতনের মেরামত ও চূর্ণকাম।”. ১৮৯২-৯৩ অঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গভাষার বহুল প্রচলন সম্বন্ধে